Saturday 13 February 2016

ভালবাসা দিবস কেন বর্জন করব ?
যে কোনো দিবসকে আমরা গ্রহণ করব না বর্জন করব,
সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রধানত দুটো বিষয়
বিবেচনা করা উচিৎ ।
#এক . দিবসটার সাথে ধর্মীয় কোনো চেতনা জড়িত
কিনা । থাকলে তা ইসলামের বিরুদ্ধে নাকি পক্ষে।
পক্ষে হলে তার প্রমাণ রাসূল স. বা তাঁর
সাহাবীদের থেকে আছে কিনা ।
#দুই . দিবসটি পালনে ইসলাম বিরোধী কিছু হচ্ছে
কিনা । হলে সেটা কোন পর্যায়ের ।
ভালবাসা দিবস গ্রহণ-বর্জন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত
নেয়ার আগেও বিষয় দুটি বিবেচনায় আনা যেতে
পারে ।
#প্রথম_বিষয় : দিবসটির সাথে ধর্মীয় চেতনা জড়িত
কিনা ? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা দেখি, দিবসটি
জনৈক খ্রীস্টান সাধুর স্মরণে পালন করা হয় । যার
ব্যাপারে কথিত আছে যে, তিনি কারাবন্দী
অবস্থায় একটি মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করায়
তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে হত্যা
করেন । সেই থেকে তাকে স্মরণ করে ভ্যালেন্টাইনস
ডে পালন করা হয় ।
যদিও পরবর্তীতে এতে নষ্টামি যোগ হওয়ায় ১৭৭৬
সালে ফ্রান্স সরকার এই দিনটি পালন নিষিদ্ধ করে ।
পরে আবার অনেকটা করপোরেট জায়গা থেকেই বলা
যায় দিনটি পুনরায় জনপ্রিয়তা ফিরে পায় ।
বর্তমানে দিনটিকে কেন্দ্র করে চলে বিলিয়ন
ডলারের বাণিজ্য ।
( উইকিপিডিয়া http:// en. wiki pedia. org /wiki/ ­
Valentine%27s_Day )
#দ্বিতীয়_বিষয় : দিবসটি পালনে ইসলাম বিরোধী
কিছু হয় কিনা । আমরা জানি বর্তমানে দিবসটিকে
কেন্দ্র করে যেসব বিষয় চলে, তার কোনোটিই
ইসলাম সমর্থন করে না ।
ভালবাসা আদান-প্রদানের নামে তরুণ-তরুণীর
সাক্ষাত, সম্মিলন, কথোপকথন, কনসার্ট, মদ্যপান
এমনকি অবৈধ সংস্পর্শ – কী হয় না দিনটিকে কেন্দ্র
করে । এ দিনটিতে অনেকে তাদের অবৈধ প্রেম
নিবেদন করে । অনেকে অবৈধ উপায়ে নিজের
সতীত্ব নষ্ট করার জন্য দিনটি নির্ধারণ করে ।
এছাড়া উন্নত ক্লাবগুলোতে আরো কী চলে, তা না-
ইবা বলা হলো ।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আর ব্যভিচারের
কাছেও যেয়ো না । নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং
মন্দ পথ ।” (আল-ইসরা: ৩২)
ব্যভিচারের কাছে যাওয়ার অর্থ কাজটির ভূমিকায়
যা কিছু হয় সবকিছু । কথা বলা, সাক্ষাৎ, সম্মিলন,
কনসার্ট, নাচানাচি, গান সবই চলে আসবে। আল্লাহ
এই সবগুলোই নিষেধ করেছেন । আর আল্লাহর নিষেধ
মানে হারাম । কবীরা গুনাহ ।
অবহেলা করে এগুলোতে অংশগ্রহণ করা ঈমান নষ্টের
কারণ হতে পারে । তাওহীদের পরিপন্থী তো বটেই ।
আল্লাহকে এক ইলাহ হিসেবে স্বীকার করে নেয়ার
অর্থ তাঁকেই একমাত্র বিধানদাতা হিসেবে স্বীকার
করে নেয়া । এবং তাঁর যে কোনো বিধান বিনা
প্রশ্নে মেনে নেয়া ।
কেউ যদি বিষয়টিকে অবহেলা করে তাহলে তা
কুফরী হবে । তেমনি কেউ এতে অংশ না নিলে যদি
তাকে ঠাট্টার কেন্দ্রবিন্দু বানানো হয়, তাহলেও তা
কুফরী হবে । কেউ এসবে অংশ নিলে, তাকে সমর্থন
করাটাও কুফরী হবে । একজন মুসলিম নিশ্চয় কুফরী
পছন্দ করতে পারে না ।
এমনিতে দিবসটির পেছনে যে ভালবাসার বাণী
রয়েছে, তাতে ইসলামের কোনো আপত্তি নেই । বরং
ইসলামের পুরো সিস্টেমটাই ভালবাসা ও দয়ার ওপর
প্রতিষ্ঠিত । সে ভালবাসা এক দিনের নয়, নয় এক
বছরের । সে ভালবাসা সারা জীবনের, ক্বিয়ামত
পর্যন্ত ।
আল্লাহ আমাদের এসব জায়গায় সুবিবেচনাপ্রসূত
সিদ্ধান্ত নেয়ার তাওফীক দিন । আমীন । (সংগৃহীত)
##শেয়ার করে সবার কাছে পৌঁছে দিন ইসলামের
শাশ্বত বাণী। হৃদয় থেকে হৃদয় উদ্ভাসিত হোক
ঈমানের আলোকচ্ছটায়।

No comments:

Post a Comment