ইসলামের ঘটনা
ঘটনা :-৭
হযরত যায়েদ ইবনে দাসানা রা. কাফিরদের হাতে
বন্দী হবার পর পাপিষ্ঠরা তাকে শূলে চড়ানোর
আয়োজন করে। তামাশা দেখার জন্য সমবেত হয়
অনেক লোক। আবু সুফিয়ান তখনো ইসলাম গ্রহণ
করেননি। তিনি নরম সুরে জিজ্ঞাসা করলেন,
যায়েদ! সত্যি করে বলতো; আল্লাহর শপথ দিয়ে
তোমাকে জিজ্ঞেস করছি, তুমি কি এটা পছন্দ কর
যে, তোমার পরিবর্তে মুহাম্মদের গর্দান উড়িয়ে
দেয়া হোক আর তোমাকে হাসিমুখে তোমার
পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়া হোক। হযরত যায়েদ
রা. দৃঢ় কণ্ঠে জবাব
দিলেন, আল্লাহর শপথ! নবীজির যাত্রাপথে একটি
কাঁটা
লুকিয়ে রাখা হবে আর আমি ঘরে বসে আরাম করবো,
এতটুকুও আমার সহ্য হবে না।
হযরত যায়েদের জবাব শুনে সেদিন মক্কার কাফেররা
হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো। আরব নেতা আবু সুফিয়ান
মন্তব্য
করেছিলেন, মুহাম্মদের প্রতি তার সাথীদের যে
ভালোবাসা আমি দেখেছি, অন্য কারো প্রতি এমন
ভালোবাসা আমি আর কখনো দেখিনি।
এই হলো সাহাবায়ে কিরামের রাসূল-প্রেমের
হৃদয়ছোঁয়া কয়েকটি দৃষ্টান্ত। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তারা পিতা-মাতা,
সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদের থেকেও অধিক
ভালোবাসতেন। একবার হযরত আলী রা. এর কাছে এক
ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি
আপনাদের কেমন ভালোবাসা ছিলো? হযরত আলী
রা. বললেন, আল্লাহর শপথ! হযরত রাসূলে কারিম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
আমরা আমাদের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি, ধন-
সম্পদ ও তৃষ্ণার্ত সময়ে প্রাপ্ত পানির চেয়েও অধিক
ভালোবাসতাম। তাই হে পাঠক! প্রিয়নবীর প্রতি
উম্মত হিসেবে আমাদের হৃদয়েও জাগাতে হবে রসূল-
প্রেম। বাস্তবতার আলোকে
ফুটিয়ে তোলতে হবে প্রিয়নবীর সুন্নাতসমূহকে।
তবেই আমরা শামিল হতে পারবো তাদের কাতারে
যারা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে
ভালোবেসেছিলেন সত্যিকারের ভালবাসা।
No comments:
Post a Comment