তওবা কি?
একজন মহিলা আসলেন
মহানবী (সা) এর কাছে …
আর বললেন -“ হুজুর
আমাকে পাক করে দিন।”
মহানবী (সা) তাকে জিজ্ঞেস
করলেন -“ তুমি কি করেছ?
“ মহিলা বললেন -“ হুজুর
আমি ব্যভিচার (জিনা/
অবৈধ সম্পর্ক) করেছি।
“ মহানবী (সা) বললেন -
“ তুমি কি বলছ ?
তোমার হুশ ঠিক আছে তো ?
“ মহিলা বললেন -“ হুজুর
আমি সত্যি বলছি।
আমি জিনা করেছি।
এবং গর্ভবতী হয়ে গিয়েছি।
.
“ মহানবী (সা) বললেন -
“ তুমি কি এরপূর্বে একজন
সাহাবীর জিনার শাস্তি
মৃত্যুদন্ড দেখনি ?
“ মহিলা বললেন -“ জ্বী হুজুর
আমি জানি।
আপনি আমাকে পাক করে দিন।”
.
মহানবী (সা) বললেন -“ ঠিক
আছে, এখন তুমি গর্ভবতী।
আগে তোমার সন্তান প্রসব কর।
তারপর তোমার বিচার হবে।
“ মহিলা চলে গেলেন। তাঁর
পিছনে কোনো প্রহরী কিংবা
পাহারা দেয়া হলনা।
সন্তান প্রসব করার পর
মহিলা ঠিক আবার মহানবী (সা)
এর কাছে আসলেন।
মহিলা বললেন -“ হুজুর
আমি সন্তান প্রসব করেছি।
এবার আমাকে পাক
করে দিন।” মহানবী (সা)
বললেন -“ তোমার
সন্তান এখনো ছোট।
.
সে যতদিন স্তন পান
করবে ততদিন
তুমি মুক্ত।” মহিলা চলে গেলেন।
নেই কোনো প্রহরী , নেই কোন
পাহারা।
নেই কারো চাপ।
মহিলা ঠিকই শিশু স্তন
পান করা শেষ করার পর আসলেন।
মহিলা-“ হুজুর আমাকে পাক
করে দিন।” তখন মহানবী (সা)
তার শাস্তি ঘোষনা করলেন।
মহিলাকে শাস্তি স্বরুপ
শরীরে কাপড়
পেচিয়ে মাটিতে পুঁতে দেয়া হল।
সকলের পাথর নিক্ষেপে মহিলার
মৃত্যু হল। মহানবী(সা) মহিলার
জন্য আল্লাহর
দরবারে দোয়া করলেন।
উমর (রা ) বললেনঃ ” ইয়া রাসুলুল্লাহ
আপনি একজন ব্যভিচারীর জন্য
দোয়া করছেন ?” মহানবী (সা)
বললেনঃ ” সে যে তওবা করেছে
তা ৭০ জন মক্কাবাসীকে যদি
ভাগ করে দেওয়া হয় ,
ঐ ৭০ জনের জান্নাত পাওয়ার
জন্যে এ তওবা যথেষ্ট।
“ তওবা করুন বিশুদ্ধ তওবা।
(সিহীহ মুসলিম শরীফ ) হাদীসটি উল্ল্যেখ
আছে-‘ সহীহ’
মুসলীম, ৬ষ্ঠখন্ড , অধ্যায়- ৩০
No comments:
Post a Comment