*গল্প থেকে শিক্ষা*
দ্বিতীয় বিয়ে: একটি আবেগ, ভালোবাসা, আর প্রয়োজনের গল্প...
ভাবছি দ্বিতীয় স্ত্রী বিষয়টা কেমন?
“কেন? আমি কি খারাপ? আমি কি যথেষ্ট ভালো নই? না, না,না! আমি কখনোই দ্বিতীয় একজন স্ত্রীকে মেনে নিতে পারি না। যদি তুমি আরেকজন মহিলাকে বিয়ে করতে চাও, তো করো; কিন্তু মনে রেখো ফিরে এসে তুমি আমাকে আর এখানে দেখতে পাবে না।”
এইতো ক’ বছর আগে ঠিক এ কথাগুলোই আমি বলেছিলাম, যখন আমার স্বামীর মুখে শুনলাম যে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে আগ্রহী। যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছিলেন, তিনি ছিলেন সদ্য-তালাকপ্রাপ্ত,৪ সন্তানের মা। খুব কষ্টেসৃষ্টে নাকি দিন কাটছিলো উনাদের। আমার স্বামী বললো, তাদের অবস্থা এতোটাই শোচনীয় যে দুপুর হলে তার বাচ্চাদের জন্য কোথা থেকে খাবার আসবে সেটাও নাকি তার জানা নেই। আমি বললাম, কেন? ওদের বাবা কোথায়? সে কি নিজের বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে পারছে না? তুমি একজন বাইরের মানুষ হয়ে কেন অন্য এক লোকের বোঝা টেনে বেড়াতে যাবে? নিশ্চয়ই উনাকে সাহায্য করার আরও অনেক উপায় আছে। তুমি চাইলে তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারো, বিয়ে করার কী প্রয়োজন!
বহুবিবাহ মেনে নেওয়ার ব্যাপারটা আমি কল্পনাও করতে পারছিলাম না! আমার স্বামীকে আরেকজন নারীর সাথে ভাগাভাগি করতে হবে। তার ভালোবাসা, হাসি, রসিকতা এগুলো আমি ছাড়াও আরেকজন নারী উপভোগ করবে? সে আমাকে ছাড়াও আরেকজন নারীকে স্পর্শ করবে, আর তাকে ভালোবাসার কথা শোনাবে! অসম্ভব। এটা মেনে নেওয়া যায় না। চরম ক্ষোভ, দুঃখ, আর অপমানের জ্বালায় আমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। আমি ওর জন্যে কী না হইনি? একজন স্ত্রী, প্রেমিকা, মা, ডাক্তার, গৃহিণী। আমি ওর তিনটা বাচ্চার মা! কীভাবে পারলো ও আমাকে এতোটা অপমান করতে? মনে হচ্ছিলো আমি হয়তো বেশি ভালো না বা বেশি সুন্দরী না কিংবা অল্পবয়সী না। কিংবা শুধু আমি যেন ওর জন্য যথেষ্ট ই না! এজন্যই দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলছে..
নাহ্। আমি মেনে নিতে পারলাম না, তখনই ওকে আমার সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম। তীব্র কণ্ঠে বলে উঠলাম, যদি কোন দ্বিতীয় স্ত্রী এই বাড়িতে ঢোকে, তাহলে আমি বেরিয়ে যাব। যদি ও অন্য এক নারীর জন্য আমাদের বিয়ে, সন্তান, আর জীবনের ঝুঁকি নিতে চায়, তো নিক। কিন্তু আমি এসব সহ্য করবো না।
মনে হচ্ছে যেন কতোকাল আগের কথা বলছি! এমন এক সময়ের কথা যখন আমি ভেবেছিলাম এ জীবনটা অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে, যেন কোনদিনও শেষ হবে না..। যেন কখনও কিচ্ছু বদলে যাবে না, বদলাতে পারে না। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সবকিছুই বদলে গেলো।
আমার স্বামী অবশ্য দ্বিতীয় বিয়ে করেন নি। আমার অতো শত হুমকি আর ওকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলার পরে বহুবিবাহের কথা আর ধোপে টেকে নি। আমি জানিনা সেই মহিলা ও তার বাচ্চাগুলোর শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিলো। বোধ হয় ওরা সবাই অন্য কোন এক শহরে চলে যায়।
এরপর আমার স্বামী আর কখনোই দ্বিতীয় স্ত্রী কথাটি উচ্চারণ করেন নি, যার কারণে আমিও খুব খুশি। নিজের স্বামীকে ধরে রাখতে পেরেছি সেই আনন্দে আত্মহারা! কিন্তু তখনও জানতাম না আমাদের সময় খুব শীঘ্রই ফুরিয়ে আসছে..।
ওর জীবনের শেষ কথাগুলো ছিলো – ওর খুব মাথা ধরেছে, ইশার সালাহর আগ পর্যন্ত নাকি শুয়ে থাকবে। হায়! ওর আর সে রাতে ইশার সালাহ আদায় করা হয় নি, কারণ ওর সে ঘুম আর ভাঙেনি। সে রাতেই উনি মারা যান। ওর আচমকা মৃত্যুকে আমি পুরো হতবিহ্বল হয়ে পরি! যে মানুষটার সাথে আমি আমার সারাটা জীবন কাটিয়েছি, তাকে এক মুহূর্তের মাঝে আমার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো! এরপর কতোকাল ধরে যে ওর জন্য কেঁদেছি তা কেউ জানেনা.. হয়তো বা এক মহাকাল জুড়ে …
সে সময় কোনকিছু দেখাশোনা করে রাখার মতো অবস্থা আমার ছিল না। অযত্নে অবহেলাতে একে একে সব হারাতে শুরু করলাম। প্রথমে আমাদের গাড়ি, এরপর দোকান, এরপর বাড়ি।
শেষমেষ আমার তিন সন্তান আর আমি – আমরা সবাই আমার ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠলাম। হঠাৎ এতোগুলো মানুষের উপস্থিতিতে ওদের বাড়িটা গিজগিজ করতো। আমার ভাবীও দিনে দিনে অতীষ্ট হয়ে উঠছিলেন। খুব ইচ্ছে হতো ঐ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। সে সময় আমার দরকার ছিল একটি চাকরি, কিন্তু আমার কোন দক্ষতা ছিল না। বয়সও হয়ে গিয়েছে। কিছু শিখে চাকরি করতে পারার মতো বয়স ছিল না। কিন্তু মানুষের দয়ায় এভাবে কতোদিন মাথা গুঁজে পড়ে থাকা যায়? নিজেদের জন্য একটি আলাদা বাসার প্রয়োজন খুব বেশি করে অনুভব করছিলাম।
যখন আমার স্বামী বেঁচে ছিলেন, আমরা কতো আরামে ছিলাম! ঘরের বাইরে যেয়ে কাজ করার প্রয়োজনই ছিল না, তাই নিজেকে কোন বিষয়ে পারদর্শী করে তোলাও জরুরি মনে হয় নি। কিন্তু উনি চলে যাওয়ার পরে জীবন এতো কঠিন হয়ে গিয়েছিলো! আমি প্রতিটা দিন উনার অভাব বোধ করতাম, হৃদয়ের প্রতিটা অংশ দিয়ে উনাকে খুঁজে ফিরতাম। কী করে মানুষের জীবন এতো ভয়ানকভাবে পাল্টে যায়?
এভাবেই দিন কাটছিলো। হঠাৎ একদিন আমার ভাই আমাকে ডেকে তার পরিচিত এক ভাইয়ের কথা বললেন। সেই ভাই নাকি বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন। ভালো মানুষ, চমৎকার আচার ব্যবহার, আর অনেক দ্বীনদার। আমার জন্যে নাকি খুব মানাবে! কিন্তু উনি চান আমি উনার দ্বিতীয় স্ত্রী হই।
আমার জীবনে দ্বিতীয় বারের মতো দ্বিতীয় স্ত্রী কথাটি শুনলাম, কিন্তু এবারে পরিস্থিতি কতো ভিন্ন!
উনি আমাকে দেখতে একদিন আমার ভাইয়ের বাসায় এলেন। ক্ষণিকের মাঝেই যেন আমাদের মধ্যে কী একটা হয়ে গেলো! অবিশ্বাস্য ভাবে আমার উনাকে খুব পছন্দ হয়ে গেলো, উনার প্রতিটা ব্যাপারই খুব ভালো লাগছিলো। উনি আমাকে বললেন, তার প্রথম স্ত্রী জানেন যে তিনি দ্বিতীয় বিয়েতে আগ্রহী, আর স্পষ্টতই সে এর বিপক্ষে। তিনি এটাও বললেন যে, দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে একজনকে খুঁজে পেয়েছেন জানলে উনার স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেটা তার জানা নেই; তবে উনার স্ত্রীর বহুবিবাহ মেনে নেওয়ার ওপরই এখন উনার চূড়ান্ত জবাব নির্ভর করছে।
সে রাতে আমি ইস্তিখারা সালাত আদায় করলাম। আমি পাগলের মতো চাইছিলাম যেন বিয়েটা ঠিকঠাক হয়ে যায়! আমার মনে পড়লো, অনেক বছর আগে আরেকজন নারীর জীবনও ঠিক এরকম করেই আমার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছিলো। মনে পড়ে গেলো, আমি কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। হঠাৎ করে অনুতাপে পুড়ে যাওয়ার মতো একটা উপলব্ধি হলো। আমার মনে হচ্ছিলো আমি আমার জীবনে আরেকজন নারীকে স্থান দেই নি, তাহলে আল্লাহ কেন আমাকে আরেকজন নারীর জীবনে স্থান নেওয়ার সুযোগ দেবেন? নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা আমাকে শাস্তি দেবেন। আমি ক্ষমা চাইতে থাকলাম। অবাক লাগছিলো! জীবনে একবারও আমার মনে হলো না যে আমি যে কাজটি করছি তা কতোটা ভুল? আমি সবসময় ভেবে এসেছি যে এমন করাটাই সঠিক কাজ ছিল। আমি আমার সম্পদকে, আমার জিনিসকে আগলে রাখছি – এতে সমস্যা কোথায়? কিন্তু এখন যখন আমার অবস্থান পাল্টে গেছে, প্রয়োজনটা যখন এবার আমার, তখন আমি বুঝতে পারলাম কতোটা ভুল-ই না আমি ছিলাম! আমি আরেকজন নারীর স্বামী পাবার অধিকারকে অস্বীকার করছিলাম।
আমি দু’আ করতে থাকলাম যেন উনার স্ত্রী আমাকে মেনে নেন..।
কয়েকদিন পর উনি আমাকে ফোন করলেন। বললেন, উনার স্ত্রীর এটা মেনে নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে, তবুও তিনি আমার সাথে দেখা করতে আগ্রহী।
দেখা করতে গেলাম। খুব চিন্তা হচ্ছিলো। সেদিন আল্লাহর কাছে অনেক দু’আ করলাম আর বললাম – হে আল্লাহ, আমাকে সাহায্য করো! যখন তাকে দেখলাম, বুঝতে পারলাম, সে ঠিক আমার মতোই একজন। আমার মতোই একজন নারী। একজন স্ত্রী যে তার স্বামীকে খুব ভালোবাসে, যে তার স্বামীকে হারাতে ভয় পায়!
তার চোখগুলোয় বেদনা ছলছল করছিলো। সে আমার হাত দুটো ধরে বললো: “বোন, আমার জন্য এটা মেনে নেওয়া কী যে কঠিন! তাও দু’আ করি যেন আমরা দু’ জন বোনের মতো থাকতে পারি।”
উনার কথায় আমার হৃদয় ভেঙে গেলো! আমার এই কঠিন সময়ে শুধু এটুকুই লাগতো- একটি সখ্যতার হাত যে আমাকে বুকে টেনে নেবে, আমাকে আশা দেবে, বেঁচে থাকার ইচ্ছাটা ফিরিয়ে আনবে। উনার স্ত্রীর জন্য সেটুকু পেলাম।
উনার স্ত্রী আমার জীবনে এমন একজন নারীর দৃষ্টান্ত, যেমন নারী আমি নিজে কখনো হতে পারি নি। আমি উনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। একসময় ভাবতাম কেউ কারো স্বামীকে নিশ্চয়ই আমার মতো করে এতো বেশি ভালোবাসতে পারে নি। কিন্তু উনার স্ত্রীকে দেখে ধারণাটি বদলে গেলো। এই মানুষটির কাছ থেকেই শিখতে পারলাম নিঃস্বার্থ ভালোবাসার আসল পরিচয়।
আমাদের লাইক দিয়ে এক্টিভেট থাকুন
হাদীস পড়ুন সুন্দর জীবন গড়ুন
Tuesday, 29 December 2015
কিয়ামতের ছোট-বড় আলামতগুলো
প্রকাশিত হতে শুরু হলে তখন কি হবে?
একজন মুসলিমের উপর যে সমস্ত বিষয়ের
প্রতি ঈমান আনয়ন করা ওয়াজিব, তার
মধ্যে আখেরাত তথা শেষ দিবসের প্রতি
এবং সেখানকার নেয়ামত ও আযাবের
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। মানুষ পার্থিব জগত
এবং তার ভোগ-বিলাসের মাঝে ডুবে
থেকে কিয়ামত, পরকাল এবং তথাকার
শাস্তি ও নেয়ামতের কথা ভুলে যেতে
পারে। ফলে আখেরাতের মঙ্গলের জন্য
আমল করাও ছেড়ে দিতে পারে। এ জন্য
মহান আল্লাহ কিয়ামতের পূর্বে এমন
কতগুলো আলামত নির্ধারণ করেছেন, যা
আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং
কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ
বহন করে এবং সকল প্রকার সন্দেহ দূর করে
দেয়।প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম কিয়ামতের পূর্বাভাস স্বরূপ
যে সমস্ত আলামতের কথা বলেছেন, একজন
মুমিন ব্যক্তি যখন ঐ সমস্ত আলামতসমূহের
কোন একটি আলামত দেখতে পাবে তখন
তার ঈমান বৃদ্ধি পাবে, নিশ্চিতভাবে
কিয়ামতের আগমণে বিশ্বাস স্থাপন
করবে, ঈমান শক্তিশালী হবে, মন থেকে
সমস্ত সন্দেহ দূর হবে, কিয়ামতের জন্যে
প্রস্ত্ততি নিবে এবং সময় শেষ হওয়ার
আগেই সৎকাজে আত্মনিয়োগ করবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
কিয়ামতের যে সমস্ত আলামতের বর্ণনা
দিয়েছেন তার অনেক আলামত হুবহু
প্রকাশিত হয়েছে। এ সমস্ত আলামত দেখে
মুমিনদের ঈমান প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে
এবং নবুওয়াতের প্রমাণগুলো দেখে
ইসলামের প্রতি তাদের আনুগত্য দিন দিন
বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন তা হবেনা? আজ
থেকে প্রায় দেড় হাজার পূর্বে নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে
সমস্ত গায়েবী বিষয়ের সংবাদ
দিয়েছেন, তা আজ হুবহু বাস্তবায়িত হতে
দেখছে। আফসোস ঐ ব্যক্তির জন্য!
দিবালোকের মত সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো
দেখেও যে কিয়ামত দিবসকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করল অথবা তার ব্যাপারে
সন্দেহ পোষণ করল।
কিয়ামত একটি বিরাট গায়েবী ঘটনা। তা
অস্বীকারকারী কিংবা তাতে সন্দেহ
পেষাণকারীর সন্দেহ দূর করার জন্য এসব
আলামত বর্ণনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আলামতগুলো দেখে কিয়ামতে বিশ্বাস
করা তার জন্যে সহজ হয়ে যাবে।
সন্দেহকারী যখন তার চোখের সামনে
আলামতগুলো দেখতে পাবে তখন তার
কাছে এ বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে
যে, যিনি কিয়ামত হবে বলে সংবাদ
দিয়েছেন, তিনিই তো কিয়ামতের
আলামত আসার কথা বলেছেন। কুরআন ও
হাদীছের বর্ণনা মোতাবেক আলামতগুলো
যখন এসে যাবে তখন এ বিষয়ের
সংবাদদাতাকে মিথ্যুক বলার কোন সুযোগ
অবশিষ্ট থাকবেনা। কারণ সংবাদের
বিষয়বস্ত্ত বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
সংবাদদাতার অধিকাংশ সংবাদ সত্যে
পরিণত হওয়ার অর্থ এই যে, তার বাকী
সংবাদগুলোও সত্য হবে। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিয়ামতের পূর্বে
যে সমস্ত আলামত আসবে বলে ঘোষণা
করেছেন বড় আলামতগুলো ব্যতীত
অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে।
যেগুলো এখনও বাস্তবায়িত হয়নি অদূর
ভবিষ্যতে তা অবশ্যই বাস্তবে পরিণত হবে
এবং সকল আলামত প্রকাশ হওয়ার পর
নির্ধারিত সময়ে মহাপ্রলয় তথা রোজ
কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে।
হাদীছের বর্ণনা মোতাবেক ভবিষ্যৎ
বাণীগুলো সত্যে পরিণত হলে ঈমান দৃঢ়,
মজবুত ও শক্তিশালী হবে। এই তো
মুসলমানেরা প্রতি যুগেই বিভিন্ন ঘটনা
হুবহু বাস্তবায়িত হতে দেখে আসছে।
কুরআন ভবিষ্যৎ বাণী করেছিল যে,
অচিরেই রোমানরা পারস্যবাসীদের উপর
বিজয় লাভ করবে। অতঃপর পুনরায় তারা
পরাজিত হবে। সাহাবীগণ
পারস্যবাসীদের উপর রোমানদের বিজয়
প্রত্যক্ষ্য করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ওফাতের পর
মুসলমানগণ রোম ও পারস্য জয় করেছেন।
সকল দ্বীনের উপর ইসলামের বিজয়
অবলোকন করেছেন। এমনিভাবে আরো
অনেক ঘটনা সত্যে পরিণত হচ্ছে এবং
মুমিনদের ঈমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তা ছাড়া আগামীতে যে সমস্ত ফিতনার
আগমণ ঘটবে তাতে একজন মুসলমান
কিভাবে চলবে, কিভাবে তা থেকে
পরিত্রাণ পাবে, অনাগত পরিস্থিতিতে
শরীয়তের বিধান কি হবে, তা জানার
জন্যে এবং সে অনুযায়ী আমল করার
জন্যে কিয়ামতের আলামতগুলো সম্পর্কে
প্রতিটি মুসলিমের জ্ঞান থাকা জরুরী।
কিয়ামতের অন্যতম বড় আলামত হচ্ছে
দাজ্জালের আগমণ। সে পৃথিবীতে চল্লিশ
দিন অবস্থান করবে। প্রথম দিনটি হবে এক
বছরের মত লম্বা। দ্বিতীয় দিনটি হবে
একমাসের মত। তৃতীয় দিনটি হবে এক
সপ্তাহের মত। আর বাকী দিনগুলো
দুনিয়ার স্বাভাবিক দিনের মতই হবে।
সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেনঃ যে
দিনটি এক বছরের মত দীর্ঘ হবে সে দিন
কি এক দিনের নামাযই যথেষ্ট হবে?
উত্তরে তিনি বললেনঃ ‘‘না; বরং তোমরা
অনুমান করে সময় নির্ধারণ করে নামায
পড়বে’’।[মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল
ফিতান।] এমনিভাবে নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
‘‘আখেরী যামানায় কিয়ামতের পূর্বে
মুসলিমগণ পরস্পরে যুদ্ধে লিপ্ত হবে’’।
তিনি এ সমস্ত যুদ্ধে শরীক হতে নিষেধ
করেছেন এবং ফিতনা থেকে দূরে থাকতে
বলেছেন। মোটকথা, ইসলামের অন্যান্য
বিষয়ের ন্যায় কিয়ামতের আলামতগুলো
সম্পর্কেও স্বচ্ছ ধারণা রাখা প্রতিটি
মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব। এই বইটি প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করলে তা সহজেই
অনুধাবন করা সম্ভব হবে।
প্রকাশিত হতে শুরু হলে তখন কি হবে?
একজন মুসলিমের উপর যে সমস্ত বিষয়ের
প্রতি ঈমান আনয়ন করা ওয়াজিব, তার
মধ্যে আখেরাত তথা শেষ দিবসের প্রতি
এবং সেখানকার নেয়ামত ও আযাবের
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। মানুষ পার্থিব জগত
এবং তার ভোগ-বিলাসের মাঝে ডুবে
থেকে কিয়ামত, পরকাল এবং তথাকার
শাস্তি ও নেয়ামতের কথা ভুলে যেতে
পারে। ফলে আখেরাতের মঙ্গলের জন্য
আমল করাও ছেড়ে দিতে পারে। এ জন্য
মহান আল্লাহ কিয়ামতের পূর্বে এমন
কতগুলো আলামত নির্ধারণ করেছেন, যা
আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং
কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ
বহন করে এবং সকল প্রকার সন্দেহ দূর করে
দেয়।প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম কিয়ামতের পূর্বাভাস স্বরূপ
যে সমস্ত আলামতের কথা বলেছেন, একজন
মুমিন ব্যক্তি যখন ঐ সমস্ত আলামতসমূহের
কোন একটি আলামত দেখতে পাবে তখন
তার ঈমান বৃদ্ধি পাবে, নিশ্চিতভাবে
কিয়ামতের আগমণে বিশ্বাস স্থাপন
করবে, ঈমান শক্তিশালী হবে, মন থেকে
সমস্ত সন্দেহ দূর হবে, কিয়ামতের জন্যে
প্রস্ত্ততি নিবে এবং সময় শেষ হওয়ার
আগেই সৎকাজে আত্মনিয়োগ করবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
কিয়ামতের যে সমস্ত আলামতের বর্ণনা
দিয়েছেন তার অনেক আলামত হুবহু
প্রকাশিত হয়েছে। এ সমস্ত আলামত দেখে
মুমিনদের ঈমান প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে
এবং নবুওয়াতের প্রমাণগুলো দেখে
ইসলামের প্রতি তাদের আনুগত্য দিন দিন
বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন তা হবেনা? আজ
থেকে প্রায় দেড় হাজার পূর্বে নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে
সমস্ত গায়েবী বিষয়ের সংবাদ
দিয়েছেন, তা আজ হুবহু বাস্তবায়িত হতে
দেখছে। আফসোস ঐ ব্যক্তির জন্য!
দিবালোকের মত সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো
দেখেও যে কিয়ামত দিবসকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করল অথবা তার ব্যাপারে
সন্দেহ পোষণ করল।
কিয়ামত একটি বিরাট গায়েবী ঘটনা। তা
অস্বীকারকারী কিংবা তাতে সন্দেহ
পেষাণকারীর সন্দেহ দূর করার জন্য এসব
আলামত বর্ণনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আলামতগুলো দেখে কিয়ামতে বিশ্বাস
করা তার জন্যে সহজ হয়ে যাবে।
সন্দেহকারী যখন তার চোখের সামনে
আলামতগুলো দেখতে পাবে তখন তার
কাছে এ বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে
যে, যিনি কিয়ামত হবে বলে সংবাদ
দিয়েছেন, তিনিই তো কিয়ামতের
আলামত আসার কথা বলেছেন। কুরআন ও
হাদীছের বর্ণনা মোতাবেক আলামতগুলো
যখন এসে যাবে তখন এ বিষয়ের
সংবাদদাতাকে মিথ্যুক বলার কোন সুযোগ
অবশিষ্ট থাকবেনা। কারণ সংবাদের
বিষয়বস্ত্ত বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
সংবাদদাতার অধিকাংশ সংবাদ সত্যে
পরিণত হওয়ার অর্থ এই যে, তার বাকী
সংবাদগুলোও সত্য হবে। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিয়ামতের পূর্বে
যে সমস্ত আলামত আসবে বলে ঘোষণা
করেছেন বড় আলামতগুলো ব্যতীত
অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে।
যেগুলো এখনও বাস্তবায়িত হয়নি অদূর
ভবিষ্যতে তা অবশ্যই বাস্তবে পরিণত হবে
এবং সকল আলামত প্রকাশ হওয়ার পর
নির্ধারিত সময়ে মহাপ্রলয় তথা রোজ
কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে।
হাদীছের বর্ণনা মোতাবেক ভবিষ্যৎ
বাণীগুলো সত্যে পরিণত হলে ঈমান দৃঢ়,
মজবুত ও শক্তিশালী হবে। এই তো
মুসলমানেরা প্রতি যুগেই বিভিন্ন ঘটনা
হুবহু বাস্তবায়িত হতে দেখে আসছে।
কুরআন ভবিষ্যৎ বাণী করেছিল যে,
অচিরেই রোমানরা পারস্যবাসীদের উপর
বিজয় লাভ করবে। অতঃপর পুনরায় তারা
পরাজিত হবে। সাহাবীগণ
পারস্যবাসীদের উপর রোমানদের বিজয়
প্রত্যক্ষ্য করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ওফাতের পর
মুসলমানগণ রোম ও পারস্য জয় করেছেন।
সকল দ্বীনের উপর ইসলামের বিজয়
অবলোকন করেছেন। এমনিভাবে আরো
অনেক ঘটনা সত্যে পরিণত হচ্ছে এবং
মুমিনদের ঈমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তা ছাড়া আগামীতে যে সমস্ত ফিতনার
আগমণ ঘটবে তাতে একজন মুসলমান
কিভাবে চলবে, কিভাবে তা থেকে
পরিত্রাণ পাবে, অনাগত পরিস্থিতিতে
শরীয়তের বিধান কি হবে, তা জানার
জন্যে এবং সে অনুযায়ী আমল করার
জন্যে কিয়ামতের আলামতগুলো সম্পর্কে
প্রতিটি মুসলিমের জ্ঞান থাকা জরুরী।
কিয়ামতের অন্যতম বড় আলামত হচ্ছে
দাজ্জালের আগমণ। সে পৃথিবীতে চল্লিশ
দিন অবস্থান করবে। প্রথম দিনটি হবে এক
বছরের মত লম্বা। দ্বিতীয় দিনটি হবে
একমাসের মত। তৃতীয় দিনটি হবে এক
সপ্তাহের মত। আর বাকী দিনগুলো
দুনিয়ার স্বাভাবিক দিনের মতই হবে।
সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেনঃ যে
দিনটি এক বছরের মত দীর্ঘ হবে সে দিন
কি এক দিনের নামাযই যথেষ্ট হবে?
উত্তরে তিনি বললেনঃ ‘‘না; বরং তোমরা
অনুমান করে সময় নির্ধারণ করে নামায
পড়বে’’।[মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল
ফিতান।] এমনিভাবে নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
‘‘আখেরী যামানায় কিয়ামতের পূর্বে
মুসলিমগণ পরস্পরে যুদ্ধে লিপ্ত হবে’’।
তিনি এ সমস্ত যুদ্ধে শরীক হতে নিষেধ
করেছেন এবং ফিতনা থেকে দূরে থাকতে
বলেছেন। মোটকথা, ইসলামের অন্যান্য
বিষয়ের ন্যায় কিয়ামতের আলামতগুলো
সম্পর্কেও স্বচ্ছ ধারণা রাখা প্রতিটি
মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব। এই বইটি প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করলে তা সহজেই
অনুধাবন করা সম্ভব হবে।
স্ত্রীকে মুহাব্বাত করে কখনো আপু মনি বলে ডাকা যাবে কিনা.?
প্রশ্ন:- জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে
মুহাববত করে কখনো কখনো আপু মনি
বলে ডাকে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এতে
কোনো অসুবিধা আছে কি? এ কারণে
তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে কি? স্ত্রীকে বোন বা আপু
বলে ডাকার হুকুম কী? বিস্তারিত
জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর :- স্ত্রীকে এভাবে সম্বোধন করা
মাকরূহ ও গুনাহের কাজ। হাদীস শরীফে
এসেছে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বোন
বলে সম্বোধন করল। রাসূলে কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা
শুনে এ থেকে তাকে নিষেধ করলেন।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২২০৪]
তাই এমন বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অবশ্য উক্ত কারণে তাদের বৈবাহিক
সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হয়নি।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২২০৪; বাযলুল
মাজহূদ ১০/৩২২; ফাতহুল কাদীর ৪/৯১;
আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪৭০; আলবাহরুর রায়েক
৪/৯৮]
প্রশ্ন:- জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে
মুহাববত করে কখনো কখনো আপু মনি
বলে ডাকে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এতে
কোনো অসুবিধা আছে কি? এ কারণে
তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে কি? স্ত্রীকে বোন বা আপু
বলে ডাকার হুকুম কী? বিস্তারিত
জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর :- স্ত্রীকে এভাবে সম্বোধন করা
মাকরূহ ও গুনাহের কাজ। হাদীস শরীফে
এসেছে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বোন
বলে সম্বোধন করল। রাসূলে কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা
শুনে এ থেকে তাকে নিষেধ করলেন।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২২০৪]
তাই এমন বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অবশ্য উক্ত কারণে তাদের বৈবাহিক
সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হয়নি।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২২০৪; বাযলুল
মাজহূদ ১০/৩২২; ফাতহুল কাদীর ৪/৯১;
আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪৭০; আলবাহরুর রায়েক
৪/৯৮]
নামাজে মনোযোগী হবার বিশেষ পদ্ধতি,
নামাজে মনোযোগী হবার একটি পদ্ধতি।আমরা
যখন নামাজে দাড়াই তখন শয়তান আমাদের
অন্তরে নানারকম প্ররোচনা দিয়ে নামাজে
অমনোযোগী করে তুলা চেষ্টা করে, এতে
অনেকের বেলায় শয়তান সফল হয় আবার
অনেকের বেলায় শয়তান সফল হতে পারেনা।এর
থেকে বাঁচতে হলে ও নামাজ শুদ্ধভাবে পড়তে
হলে আমরা যদি নামাযে যাহা পড়ি মেশিনের
মতো না পড়ে বুঝে পড়ার চেষ্টা করতাম
তাহলে ইন শা আল্লাহ্ শয়তান আমাদের
নামাজকে নষ্ট করতে সফল হতে পারবে না।
আজ আপনাদেরকে কিভাবে সুরা ফাতিহাতে
মনোযোগ রাখবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।
নামাযে সূরা ফতিহা পড়ার সময় এ হাদীসটির
কথা খেয়ালে রাখলে এক একটি আয়াত পড়ার
পর আল্লাহর প্রেমময় জওয়াবটা মনের কানে
শুনবার জন্য বান্দাহকে থামতেই হবে। আল্লাহর
জওয়াবে যে তৃপ্তি ও শান্তি তা তারাই বোধ
করতে পারে, যারা আয়াতগুলো ধীরেধীরে
মজা নিয়ে পড়ে।
এ হাদীসে মহব্বতের এমন অগ্নিকণা রয়েছে যে,
বান্দার দিলে ঈমানের বারুদ থাকলে এবং
নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার সময় আল্লাহর
আবেগময় কথার দিকে খেয়াল করলে আল্লাহর
প্রতি ভালবাসার এমন আগুন জ্বলে উঠবে যে,
জযবায় বান্দাহ নিজেকে মনিবের অতি কাছে
বলে অনুভব করবে। আউযুবিল্লাহ ও
বিসমিল্লাহ...পড়ে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত
করতে হবে।হাদীসে আছে যে সূরা ফাতিহার
এক এক অংশ তিলাওয়াত করার সাথে সাথে
আল্লাহ এর জওয়াব দেন। এ হাদীসের কথাগুলো
এমন আবেগময় ভাষায় বলা হয়েছে যা বান্দাহর
মনে গভীর দোলা দেয়।
হাদীসটি নিম্নরূপ:
হাদিসটির অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেলন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার
ও আমার বান্দাহর মধ্যে দুভাগে ভাগ করেছি।
আর আমার বান্দাহ আমার নিকট যা চায় তাই
পাবে।
বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল
আলামীন।”
অর্থ :- যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার
যিনি সকলসৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। তখন
আল্লাহ বলেন , “ আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা
করল।” যখন বান্দাহ বলে “আর রাহমানির
রাহীম”। অর্থ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও
দয়ালু। তখন আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দাহ আমার গুণ গাইল” যখন বান্দাহ বলে “মালিকি
ইয়াওমিদ্দীন ” অর্থ :যিনি বিচার দিনের
মালিক। তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ
আমার গৌরব বর্ণনা করল” যখন বান্দাহ বলে,
“ইয়্যাকা না বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন
অর্থ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং
শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। তখন
আল্লাহ বলেন “এ বিষয়টা আমার ও আমার
বান্দাহর মাঝেই রইল। আর আমার বান্দাহর জন্য
তাই যা সে চাইল (অর্থাৎ আমার ও আমার
বান্দাহর মধ্যে এ চুক্তি হলো যে সে আমার
কাছে চাইবে, আর আমি তাকে দেব)।
যখন বান্দাহ বলে “ইহদিনাস সিরাতাল
মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন আমতা
আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ
দোয়াললীন”
অর্থ : আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,সে সমস্ত
লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান
করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার
গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
" তখন আল্লাহ বলেন এটা আমার বান্দাহর জন্যই
রইল আর আমার বান্দাহর জন্য তা ই যা সে
চাইল।”
নামাজে মনোযোগী হবার একটি পদ্ধতি।আমরা
যখন নামাজে দাড়াই তখন শয়তান আমাদের
অন্তরে নানারকম প্ররোচনা দিয়ে নামাজে
অমনোযোগী করে তুলা চেষ্টা করে, এতে
অনেকের বেলায় শয়তান সফল হয় আবার
অনেকের বেলায় শয়তান সফল হতে পারেনা।এর
থেকে বাঁচতে হলে ও নামাজ শুদ্ধভাবে পড়তে
হলে আমরা যদি নামাযে যাহা পড়ি মেশিনের
মতো না পড়ে বুঝে পড়ার চেষ্টা করতাম
তাহলে ইন শা আল্লাহ্ শয়তান আমাদের
নামাজকে নষ্ট করতে সফল হতে পারবে না।
আজ আপনাদেরকে কিভাবে সুরা ফাতিহাতে
মনোযোগ রাখবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।
নামাযে সূরা ফতিহা পড়ার সময় এ হাদীসটির
কথা খেয়ালে রাখলে এক একটি আয়াত পড়ার
পর আল্লাহর প্রেমময় জওয়াবটা মনের কানে
শুনবার জন্য বান্দাহকে থামতেই হবে। আল্লাহর
জওয়াবে যে তৃপ্তি ও শান্তি তা তারাই বোধ
করতে পারে, যারা আয়াতগুলো ধীরেধীরে
মজা নিয়ে পড়ে।
এ হাদীসে মহব্বতের এমন অগ্নিকণা রয়েছে যে,
বান্দার দিলে ঈমানের বারুদ থাকলে এবং
নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার সময় আল্লাহর
আবেগময় কথার দিকে খেয়াল করলে আল্লাহর
প্রতি ভালবাসার এমন আগুন জ্বলে উঠবে যে,
জযবায় বান্দাহ নিজেকে মনিবের অতি কাছে
বলে অনুভব করবে। আউযুবিল্লাহ ও
বিসমিল্লাহ...পড়ে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত
করতে হবে।হাদীসে আছে যে সূরা ফাতিহার
এক এক অংশ তিলাওয়াত করার সাথে সাথে
আল্লাহ এর জওয়াব দেন। এ হাদীসের কথাগুলো
এমন আবেগময় ভাষায় বলা হয়েছে যা বান্দাহর
মনে গভীর দোলা দেয়।
হাদীসটি নিম্নরূপ:
হাদিসটির অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেলন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার
ও আমার বান্দাহর মধ্যে দুভাগে ভাগ করেছি।
আর আমার বান্দাহ আমার নিকট যা চায় তাই
পাবে।
বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল
আলামীন।”
অর্থ :- যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার
যিনি সকলসৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। তখন
আল্লাহ বলেন , “ আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা
করল।” যখন বান্দাহ বলে “আর রাহমানির
রাহীম”। অর্থ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও
দয়ালু। তখন আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দাহ আমার গুণ গাইল” যখন বান্দাহ বলে “মালিকি
ইয়াওমিদ্দীন ” অর্থ :যিনি বিচার দিনের
মালিক। তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ
আমার গৌরব বর্ণনা করল” যখন বান্দাহ বলে,
“ইয়্যাকা না বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন
অর্থ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং
শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। তখন
আল্লাহ বলেন “এ বিষয়টা আমার ও আমার
বান্দাহর মাঝেই রইল। আর আমার বান্দাহর জন্য
তাই যা সে চাইল (অর্থাৎ আমার ও আমার
বান্দাহর মধ্যে এ চুক্তি হলো যে সে আমার
কাছে চাইবে, আর আমি তাকে দেব)।
যখন বান্দাহ বলে “ইহদিনাস সিরাতাল
মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন আমতা
আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ
দোয়াললীন”
অর্থ : আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,সে সমস্ত
লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান
করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার
গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
" তখন আল্লাহ বলেন এটা আমার বান্দাহর জন্যই
রইল আর আমার বান্দাহর জন্য তা ই যা সে
চাইল।”
Sunday, 27 December 2015
বিশ্বাস কি?
যে কোন কিছু বুঝতে হলে প্রথমে কিছু জিনিস না
বুঝেই বিশ্বাস করতে হয়। কারণ যে কোন কিছুর শুরুতে
কোন কিছুকে নিপাতনে সিদ্ধ হিসেবে ধরে না
নিলে কোন কিছুই আর জানা বা শিখা হবে না।
কিছু উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিস্কার হবে।
১। আমরা ভাষা শিখতে গেলে প্রথমে 'অ', 'আ', 'ই'
এগুলোকে যথাক্রমে স্বর-অ, স্বর-আ, হ্রস্ব-ই ইত্যাদি
হিসেবে বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করে নিতে হয়।
নাহলে ভাষা আর শিখা হবে না।
২। জ্যামিতি শিখতে গেলে প্রথমে কতোগুলো
স্বতঃসিদ্ধ বিষয়কে বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করতে
হয়। যেমন আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হয় যে, যার
দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা কিছুই নাই কিন্তু অস্তিত্ব
আছে তাকে বিন্দু বলে। এখন আপনি যদি বলেন যে,
পদার্থ বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী এমন কোন কিছু
থাকা অসম্ভব তাহলে আপনার আর জ্যামিতি শিখা
হবে না। তার মানে পদার্থ বিজ্ঞান দিয়ে এটা
বিম্বাস করা যাবে না। তাই বিনা যুক্তিতেই
আমাদেরকে এটা মেনে নিতে হয়।
৩। আবার আমরা যখন বিজ্ঞানে যায় তখনও বিভিন্ন
বিষয় যেমন অনু, পরমানু, ইলেকট্রণ ইত্যাদি বিনা
শর্তে মেনে নিতে হয়। তার উপর ভিত্তি করেই
অন্যগুলোর জন্য যুক্তি দাড় করানো হয়।
সুতরাং প্রতিটা ক্ষেত্রেই এমন কিছু বিষয় আছে
যেগুলোকে শর্তের উর্ধে রাখা হয়। না হলে আর
সামনে অগ্রসর হওয়া যায় না। কাজেই বুঝা গেল যে,
কোন কিছু বিশ্বাস করতে গেলে শুরুতেই যুক্তিকে
নিয়ে আসা বোকামি বৈ কিছুই নয়।
একই ভাবে, ইসলামের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস।
প্রথমত ৭টা মূল বিষয়ের উপর বিশ্বাস করলেই
ইসলামকে বুঝা এবং জানা যাবে। কেউ কেউ সৃষ্টি
কর্তাকে বিশ্বাস করার জন্য যুক্তি খোঁজেন। তারপর
তাদেরকে যদি সৃষ্টি জগৎ দেখানো হয় তখন তারা
বলে, "সব কিছুর যখন সৃষ্টিকর্তা থাকে তাহলে
উনাকে কে সৃষ্টি করেছেন?" (নাউযুবিল্লাহ) আসলে
মূল কথা হলো তারা কোন কিছুতেই সেটা মানতে
নারাজ। তারা অ, আ, ক, খ, A, B, C,, বিন্দু, রেখা সব
কিছুই বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করতে পারেন। শুধু
আল্লাহ কে বিশ্বাস করতে গেলে দুনিয়ার যতো সব
যুক্তি, প্রমাণ হাজির করতে হয়। এগুলো সবই তাদের
অযৌক্তিক টাল-বাহানা।
যারা সবকিছুতেই যুক্তি খোজেন তাদের কাছে
জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, "কোন্ যুক্তিতে আপনি
'যুক্তি' বিশ্বাস করেন?" তখন তাদের অবস্থাও
সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টার মতো হইবে।
যে কোন কিছু বুঝতে হলে প্রথমে কিছু জিনিস না
বুঝেই বিশ্বাস করতে হয়। কারণ যে কোন কিছুর শুরুতে
কোন কিছুকে নিপাতনে সিদ্ধ হিসেবে ধরে না
নিলে কোন কিছুই আর জানা বা শিখা হবে না।
কিছু উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিস্কার হবে।
১। আমরা ভাষা শিখতে গেলে প্রথমে 'অ', 'আ', 'ই'
এগুলোকে যথাক্রমে স্বর-অ, স্বর-আ, হ্রস্ব-ই ইত্যাদি
হিসেবে বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করে নিতে হয়।
নাহলে ভাষা আর শিখা হবে না।
২। জ্যামিতি শিখতে গেলে প্রথমে কতোগুলো
স্বতঃসিদ্ধ বিষয়কে বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করতে
হয়। যেমন আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হয় যে, যার
দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা কিছুই নাই কিন্তু অস্তিত্ব
আছে তাকে বিন্দু বলে। এখন আপনি যদি বলেন যে,
পদার্থ বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী এমন কোন কিছু
থাকা অসম্ভব তাহলে আপনার আর জ্যামিতি শিখা
হবে না। তার মানে পদার্থ বিজ্ঞান দিয়ে এটা
বিম্বাস করা যাবে না। তাই বিনা যুক্তিতেই
আমাদেরকে এটা মেনে নিতে হয়।
৩। আবার আমরা যখন বিজ্ঞানে যায় তখনও বিভিন্ন
বিষয় যেমন অনু, পরমানু, ইলেকট্রণ ইত্যাদি বিনা
শর্তে মেনে নিতে হয়। তার উপর ভিত্তি করেই
অন্যগুলোর জন্য যুক্তি দাড় করানো হয়।
সুতরাং প্রতিটা ক্ষেত্রেই এমন কিছু বিষয় আছে
যেগুলোকে শর্তের উর্ধে রাখা হয়। না হলে আর
সামনে অগ্রসর হওয়া যায় না। কাজেই বুঝা গেল যে,
কোন কিছু বিশ্বাস করতে গেলে শুরুতেই যুক্তিকে
নিয়ে আসা বোকামি বৈ কিছুই নয়।
একই ভাবে, ইসলামের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস।
প্রথমত ৭টা মূল বিষয়ের উপর বিশ্বাস করলেই
ইসলামকে বুঝা এবং জানা যাবে। কেউ কেউ সৃষ্টি
কর্তাকে বিশ্বাস করার জন্য যুক্তি খোঁজেন। তারপর
তাদেরকে যদি সৃষ্টি জগৎ দেখানো হয় তখন তারা
বলে, "সব কিছুর যখন সৃষ্টিকর্তা থাকে তাহলে
উনাকে কে সৃষ্টি করেছেন?" (নাউযুবিল্লাহ) আসলে
মূল কথা হলো তারা কোন কিছুতেই সেটা মানতে
নারাজ। তারা অ, আ, ক, খ, A, B, C,, বিন্দু, রেখা সব
কিছুই বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করতে পারেন। শুধু
আল্লাহ কে বিশ্বাস করতে গেলে দুনিয়ার যতো সব
যুক্তি, প্রমাণ হাজির করতে হয়। এগুলো সবই তাদের
অযৌক্তিক টাল-বাহানা।
যারা সবকিছুতেই যুক্তি খোজেন তাদের কাছে
জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, "কোন্ যুক্তিতে আপনি
'যুক্তি' বিশ্বাস করেন?" তখন তাদের অবস্থাও
সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টার মতো হইবে।
Thursday, 24 December 2015
***শিক্ষনীয় গল্প***
একটি শিক্ষনীয় গল্প সবাই পড়বেন।
খুব ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো। তার বাবা
তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো
যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে
পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে।
প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি
পেরেক মারতে হলো। পরের কয়েক সপ্তাহে
ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে
পারলো তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের
সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো।
সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায়
পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা
অনেক বেশি সহজ। শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো
যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে
তার বাবাকে এই কথা জানালো।
তারা বাবা তাকে বললো, এখন
তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন
করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক
খুলে ফেলো। অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি
একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং
কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো, 'তুমি খুব ভাল
ভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো, এখন তুমি
তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো,
প্রতিটা কাঠে পেরেকের
গর্ত গুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি
কখনো আগের
অবস্থায় ফিরে যাবে না। যখন
তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে
ঠিক এমন একটা আচড় পরে যায়। তাই নিজের রাগতে
নিয়ন্ত্রন করতে শেখো। মানসিক ক্ষত অনেক সময়
শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।"
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
একটি শিক্ষনীয় গল্প সবাই পড়বেন।
খুব ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো। তার বাবা
তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো
যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে
পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে।
প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি
পেরেক মারতে হলো। পরের কয়েক সপ্তাহে
ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে
পারলো তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের
সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো।
সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায়
পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা
অনেক বেশি সহজ। শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো
যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে
তার বাবাকে এই কথা জানালো।
তারা বাবা তাকে বললো, এখন
তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন
করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক
খুলে ফেলো। অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি
একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং
কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো, 'তুমি খুব ভাল
ভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো, এখন তুমি
তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো,
প্রতিটা কাঠে পেরেকের
গর্ত গুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি
কখনো আগের
অবস্থায় ফিরে যাবে না। যখন
তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে
ঠিক এমন একটা আচড় পরে যায়। তাই নিজের রাগতে
নিয়ন্ত্রন করতে শেখো। মানসিক ক্ষত অনেক সময়
শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।"
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো। সে
তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে ঘরে
গিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো । ছেলেটার
গায়ে ছিলো একটা জীর্ন মলিন পোষাক। সে ভীষণ
ক্ষুধার্ত ছিলো। সে ভাবলো যে পরে যে বাসায়
যাবে , সেখানে গিয়ে সে কিছু খাবার চাইবে।
কিন্তু সে যখন একটা বাসায় গেলো খাবারের আশা
নিয়ে, সে ঘর থেকে একজন সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে
এলেন । সে খাবারের কথা বলতে ভয় পেলো। সে
খাবারের কথা না বলে শুধু এক গ্লাস পানি চাইলো ।
মহিলা ছেলেটার অবস্থা দেখে বুঝলেন যে সে
ক্ষুধার্থ । তাই তিনি ছেলেটাকে একটা বড় গ্লাস দুধ
এনে দিলেন । ছেলেটা আস্তে আস্তে দুধটুকু খেয়ে
বলল" আপনাকে আমার কত টাকা দিতে হবে এই দুধেরজন্য?
" মহিলা বলল "তোমাকে কোন কিছুই দিতে হবে
না । ছেলেটা বলল "আমার মা আমাকে বলেছেন
কখনো করুণার দান না নিতে । তাহলে আমি
আপনাকে মনের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি ।"
ছেলেটার নাম ছিলো স্যাম কেইলি । স্যাম যখন দুধ
খেয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এল, তখন সে
শারীরিকভাবে কিছুটা শক্তি অনুভব করলো । স্যাম
এর বিধাতার উপর ছিলো অগাধ বিশ্বাস । তাছাড়া
সে কখনো কিছু ভুলতো না ।
অনেক বছর পর ঐ মহিলা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে
পরলো । স্থানীয় ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করতে
চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল । তখন তাকে পাঠানো হলো
একটা বড় শহরের নামকরা হাসপাতালে । যেখানে
দুলর্ভ ও মারাত্মক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা
করা হয় ।
ডা: স্যামকেইলি কে এই মহিলার দায়িত্ব দেওয়া
হলো । যখন ডাঃ স্যাম কেইলি শুনলেন যে মহিলা
কোন শহর থেকে এসেছেন , তার চোখের দৃষ্টিতে
অদ্ভুত একটা আলো যেন জ্বলে উঠলো । তিনি
তাড়াতাড়ি ঐ মহিলাকে দেখতে গেলেন ।
ডাক্তারের এপ্রোন পরে তিনি মহিলার রুমে ঢুকলেন
এবং প্রথম দেখাতেই তিনি মহিলাকে চিনতে
পারলেন । তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে ,
যেভাবেই হোক তিনি মহিলাকে বাঁচাবেনই । ঐ দিন
থেকে তিনি ঐ রোগীর আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া
শুরু করলেন । অনেক চেষ্টার পর মহিলাকে বাঁচানো
সম্ভব হলো ।
ডাঃ স্যাম কেইলি হাসপাতালের একাউন্টেন্টকে ঐ
মহিলার চিকিৎসার বিল দিতে বললেন, কারণ তার
সাইনছাড়া ঐ বিল কার্যকর হবে না । ডাঃ স্যাম
কেইলি ঐ বিলের কোণায় কি যেনো লিখলেন এবং
তারপর সেটা ঐ মহিলার কাছে পাঠিয়ে দিলেন ।
মহিলা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন বিলটা খুলতে। কারণ
তিনি জানেন যে এতো দিনে যে পরিমাণ বিল
এসেছে তা তিনি সারা জীবনেও শোধ করতে
পারবেন না ।
অবশেষে তিনি বিলটা খুললেন এবং বিলের পাশ
দিয়ে লেখা কিছু কথা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো ।
তিনি পড়তে লাগলেন "আপনার চিকিৎসার খরচ হলো
পুরো এক গ্লাস দুধ।" এবং বিলের নিচের সাইন করা
ছিলো ডাঃ স্যাম কেইলির নাম
শিক্ষা:- মানুষকে সাহায্য করুন , যতটা আপনার পক্ষে
সম্ভব । হয়তো এই অল্প সাহায্যের ফল হিসেবে
আপনি এমন কিছু পাবেন যা কখনো আপনি চিন্তাই
করেননি
তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে ঘরে
গিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো । ছেলেটার
গায়ে ছিলো একটা জীর্ন মলিন পোষাক। সে ভীষণ
ক্ষুধার্ত ছিলো। সে ভাবলো যে পরে যে বাসায়
যাবে , সেখানে গিয়ে সে কিছু খাবার চাইবে।
কিন্তু সে যখন একটা বাসায় গেলো খাবারের আশা
নিয়ে, সে ঘর থেকে একজন সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে
এলেন । সে খাবারের কথা বলতে ভয় পেলো। সে
খাবারের কথা না বলে শুধু এক গ্লাস পানি চাইলো ।
মহিলা ছেলেটার অবস্থা দেখে বুঝলেন যে সে
ক্ষুধার্থ । তাই তিনি ছেলেটাকে একটা বড় গ্লাস দুধ
এনে দিলেন । ছেলেটা আস্তে আস্তে দুধটুকু খেয়ে
বলল" আপনাকে আমার কত টাকা দিতে হবে এই দুধেরজন্য?
" মহিলা বলল "তোমাকে কোন কিছুই দিতে হবে
না । ছেলেটা বলল "আমার মা আমাকে বলেছেন
কখনো করুণার দান না নিতে । তাহলে আমি
আপনাকে মনের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি ।"
ছেলেটার নাম ছিলো স্যাম কেইলি । স্যাম যখন দুধ
খেয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এল, তখন সে
শারীরিকভাবে কিছুটা শক্তি অনুভব করলো । স্যাম
এর বিধাতার উপর ছিলো অগাধ বিশ্বাস । তাছাড়া
সে কখনো কিছু ভুলতো না ।
অনেক বছর পর ঐ মহিলা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে
পরলো । স্থানীয় ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করতে
চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল । তখন তাকে পাঠানো হলো
একটা বড় শহরের নামকরা হাসপাতালে । যেখানে
দুলর্ভ ও মারাত্মক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা
করা হয় ।
ডা: স্যামকেইলি কে এই মহিলার দায়িত্ব দেওয়া
হলো । যখন ডাঃ স্যাম কেইলি শুনলেন যে মহিলা
কোন শহর থেকে এসেছেন , তার চোখের দৃষ্টিতে
অদ্ভুত একটা আলো যেন জ্বলে উঠলো । তিনি
তাড়াতাড়ি ঐ মহিলাকে দেখতে গেলেন ।
ডাক্তারের এপ্রোন পরে তিনি মহিলার রুমে ঢুকলেন
এবং প্রথম দেখাতেই তিনি মহিলাকে চিনতে
পারলেন । তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে ,
যেভাবেই হোক তিনি মহিলাকে বাঁচাবেনই । ঐ দিন
থেকে তিনি ঐ রোগীর আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া
শুরু করলেন । অনেক চেষ্টার পর মহিলাকে বাঁচানো
সম্ভব হলো ।
ডাঃ স্যাম কেইলি হাসপাতালের একাউন্টেন্টকে ঐ
মহিলার চিকিৎসার বিল দিতে বললেন, কারণ তার
সাইনছাড়া ঐ বিল কার্যকর হবে না । ডাঃ স্যাম
কেইলি ঐ বিলের কোণায় কি যেনো লিখলেন এবং
তারপর সেটা ঐ মহিলার কাছে পাঠিয়ে দিলেন ।
মহিলা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন বিলটা খুলতে। কারণ
তিনি জানেন যে এতো দিনে যে পরিমাণ বিল
এসেছে তা তিনি সারা জীবনেও শোধ করতে
পারবেন না ।
অবশেষে তিনি বিলটা খুললেন এবং বিলের পাশ
দিয়ে লেখা কিছু কথা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো ।
তিনি পড়তে লাগলেন "আপনার চিকিৎসার খরচ হলো
পুরো এক গ্লাস দুধ।" এবং বিলের নিচের সাইন করা
ছিলো ডাঃ স্যাম কেইলির নাম
শিক্ষা:- মানুষকে সাহায্য করুন , যতটা আপনার পক্ষে
সম্ভব । হয়তো এই অল্প সাহায্যের ফল হিসেবে
আপনি এমন কিছু পাবেন যা কখনো আপনি চিন্তাই
করেননি
Tuesday, 22 December 2015
গল্প থেকে শিক্ষা
এক কুকুর রোজ তার মালিকের কাছে খাবার পৌঁছে
দিত। খাবারের ঝুড়ি থেকে আসা চমৎকার সব
খাবারের গন্ধে সেই কুকুরের খুব লোভ হত খাবারগুলো
চেখে দেখার।
কিন্তু, নিজেকে সব সময় সামলে নিত সে।
বিশ্বস্ততার সাথে নিয়মিত সে তার কাজ করে যেত।
কিন্তু একদিন পাড়ার সব কুকুরেরা একসাথে তার
পিছু নিল। চোখে তাদের তীব্র আকাঙ্খা, মুখ থেকে
লোভ ঝরে পড়ছে। সমানে তারা চেষ্টা করতে থাকল
ঝুড়ি থেকে খাবার চুরি করে খেয়ে ফেলার।
বিশ্বাসী কুকুরটি অনেকক্ষণ তাদের থেকে পালিয়ে
পালিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ধাওয়া
করে আসা কুকুরগুলো এক সময় এমন ভাবে তাকে
ঘিরে ধরল যে সে দাঁড়িয়ে পড়ল।
কুকুরগুলোর সাথে তর্ক করে সে তাদের বোঝাতে
চাইল যে তারা কাজটা ঠিক করছে না। চোর
কুকুরগুলো ঠিক এটাই চাইছিল। তারা এমনভাবে
তাকে বিদ্রূপ করতে রইল যে একসময় সে রাজী হয়ে
গেল।
“ঠিক আছে, তাই হোক,” বলল সে, “তবে,
ভাগাভাগিটা কিন্তু, আমি নিজে ঠিক করব।” এই
বলে মাংসের সবচেয়ে ভালো টুকরোটা সে নিজের
জন্য তুলে নিল আর বাকিটা ঐ কুকুরগুলোকে দিয়ে
দিল।
✔ শিক্ষাঃ সম্পদের অংশীদার না করে চিরকাল
কাউকে দিয়ে সেই সম্পদের ভার বওয়ান যায় না।
একদিন না একদিন সেই বঞ্চিত লোক ঐ ভার লুট করে
নেবেই।
এক কুকুর রোজ তার মালিকের কাছে খাবার পৌঁছে
দিত। খাবারের ঝুড়ি থেকে আসা চমৎকার সব
খাবারের গন্ধে সেই কুকুরের খুব লোভ হত খাবারগুলো
চেখে দেখার।
কিন্তু, নিজেকে সব সময় সামলে নিত সে।
বিশ্বস্ততার সাথে নিয়মিত সে তার কাজ করে যেত।
কিন্তু একদিন পাড়ার সব কুকুরেরা একসাথে তার
পিছু নিল। চোখে তাদের তীব্র আকাঙ্খা, মুখ থেকে
লোভ ঝরে পড়ছে। সমানে তারা চেষ্টা করতে থাকল
ঝুড়ি থেকে খাবার চুরি করে খেয়ে ফেলার।
বিশ্বাসী কুকুরটি অনেকক্ষণ তাদের থেকে পালিয়ে
পালিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ধাওয়া
করে আসা কুকুরগুলো এক সময় এমন ভাবে তাকে
ঘিরে ধরল যে সে দাঁড়িয়ে পড়ল।
কুকুরগুলোর সাথে তর্ক করে সে তাদের বোঝাতে
চাইল যে তারা কাজটা ঠিক করছে না। চোর
কুকুরগুলো ঠিক এটাই চাইছিল। তারা এমনভাবে
তাকে বিদ্রূপ করতে রইল যে একসময় সে রাজী হয়ে
গেল।
“ঠিক আছে, তাই হোক,” বলল সে, “তবে,
ভাগাভাগিটা কিন্তু, আমি নিজে ঠিক করব।” এই
বলে মাংসের সবচেয়ে ভালো টুকরোটা সে নিজের
জন্য তুলে নিল আর বাকিটা ঐ কুকুরগুলোকে দিয়ে
দিল।
✔ শিক্ষাঃ সম্পদের অংশীদার না করে চিরকাল
কাউকে দিয়ে সেই সম্পদের ভার বওয়ান যায় না।
একদিন না একদিন সেই বঞ্চিত লোক ঐ ভার লুট করে
নেবেই।
শিক্ষনীয় ছোট গল্প
এক অন্ধ বালক একটি বড় ব্যাংকের সামনে বসে
ছিলো।তার সামনে ছিলো একটি থালা আর হাতে
ছিলো একটি কাগজ,যাতে লেখাঃ ‘আমি অন্ধ,অনুগ্রহ
করে সাহায্য করুন’।
সারাটা সকাল তার থালায় মাত্র কয়েকটি পয়সাই
জমেছিলো। ব্যাংকের এক চাকুরিজীবী ব্যাংকে
ঢোকার সময় অন্ধটিকে দেখলো। সে তার মানিব্যাগ
বের করে তাকে কিছু পয়সা দিলো, তার হাতের
কাগজটি নিল এবং এর পেছনে কিছু লিখলো। এরপর
ছেলেটির হাতে তা ধরিয়ে দিল যাতে সবাই নতুন
লেখাটি দেখতে পায়।
এরপর আশ্চর্যজনক ভাবে সবার সাহায্যের পরিমান
বেড়ে গেল।অনেক বেশি লোক ছেলেটিকে সাহায্য
করতে থাকলো,তার থালাও ভরে উঠলো।বিকেলে
সেই ব্যাংকার তার অফিস থেকে বেড়িয়ে
ছেলেটিকে দেখতে এলো। তার গলা চিনতে পেরে
ছেলেটি তাকে জিজ্ঞেস করলো,‘তুমিই কি সেই
লোক যে আমার কাগজের লেখাটি বদলে
দিয়েছিলে? কি লিখেছিলে তুমি?’
লোকটি বললো,‘আমিও সত্যটাই লিখেছিলাম তবে
একটি ভিন্ন ভাবে।লিখেছিলাম,‘‘আজ খুব সুন্দর একটি
দিন কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য আমি দেখতে পাই না।’’
দুটো লেখাই মানুষকে বলে যে ছেলেটি অন্ধ।কিন্তু
প্রথমটি শুধু বলে যে সে অন্ধ।কিন্তু দ্বিতীয় লেখাটি
মানুষকে বলে তারা অনেক ভাগ্যবান যে তারা অন্ধ
নয়।
তোমার যা আছে তারজন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ
থাকো। নতুন ভাবে চিন্তা করতে শিখো, সবার চেয়ে
একটু ভিন্নভাবে কিন্তু পজিটিভ ভাবে ভাবতে
শেখো। জীবন যখন তোমাকে কষ্ট পাওয়ার একশটা
কারন দেয়,জীবনকে দেখিয়ে দাও যে তোমারও সুখী
হওয়ার হাজারটা কারন আছে।
এক অন্ধ বালক একটি বড় ব্যাংকের সামনে বসে
ছিলো।তার সামনে ছিলো একটি থালা আর হাতে
ছিলো একটি কাগজ,যাতে লেখাঃ ‘আমি অন্ধ,অনুগ্রহ
করে সাহায্য করুন’।
সারাটা সকাল তার থালায় মাত্র কয়েকটি পয়সাই
জমেছিলো। ব্যাংকের এক চাকুরিজীবী ব্যাংকে
ঢোকার সময় অন্ধটিকে দেখলো। সে তার মানিব্যাগ
বের করে তাকে কিছু পয়সা দিলো, তার হাতের
কাগজটি নিল এবং এর পেছনে কিছু লিখলো। এরপর
ছেলেটির হাতে তা ধরিয়ে দিল যাতে সবাই নতুন
লেখাটি দেখতে পায়।
এরপর আশ্চর্যজনক ভাবে সবার সাহায্যের পরিমান
বেড়ে গেল।অনেক বেশি লোক ছেলেটিকে সাহায্য
করতে থাকলো,তার থালাও ভরে উঠলো।বিকেলে
সেই ব্যাংকার তার অফিস থেকে বেড়িয়ে
ছেলেটিকে দেখতে এলো। তার গলা চিনতে পেরে
ছেলেটি তাকে জিজ্ঞেস করলো,‘তুমিই কি সেই
লোক যে আমার কাগজের লেখাটি বদলে
দিয়েছিলে? কি লিখেছিলে তুমি?’
লোকটি বললো,‘আমিও সত্যটাই লিখেছিলাম তবে
একটি ভিন্ন ভাবে।লিখেছিলাম,‘‘আজ খুব সুন্দর একটি
দিন কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য আমি দেখতে পাই না।’’
দুটো লেখাই মানুষকে বলে যে ছেলেটি অন্ধ।কিন্তু
প্রথমটি শুধু বলে যে সে অন্ধ।কিন্তু দ্বিতীয় লেখাটি
মানুষকে বলে তারা অনেক ভাগ্যবান যে তারা অন্ধ
নয়।
তোমার যা আছে তারজন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ
থাকো। নতুন ভাবে চিন্তা করতে শিখো, সবার চেয়ে
একটু ভিন্নভাবে কিন্তু পজিটিভ ভাবে ভাবতে
শেখো। জীবন যখন তোমাকে কষ্ট পাওয়ার একশটা
কারন দেয়,জীবনকে দেখিয়ে দাও যে তোমারও সুখী
হওয়ার হাজারটা কারন আছে।
***মদ্যপানের নিষিদ্ধতা***

প্রশ্নঃ ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ কেন?
নিন্মে এই প্রশ্নের জবাবে কোরআন হাদীসের রেফারেন্স তুলে ধরা হল.........
স্মরণাতীত কাল থেকে বিশ্বমানবতার জন্য ‘এলকোহল’ তীব্র যন্ত্রনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। মদ অসংখ্য অগুনতী মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ এবং বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের ভয়ঙ্কর দুর্দশার কারণ। মানুষের সমাজে অসংখ্য সমস্যার নেপথ্যে আসল হেতু এই ‘এলকোহল’ বা মদ। অপরাধ প্রবনতার তীব্র উর্ধগতী, ক্রমবর্ধমান মানসিক বিপর্যয় এবং কোটি কোটি ভাঙ সংসার জীবন্ত প্রমাণ বহর করছে বিশ্ব জুড়ে এলকোহলের নিরব ধ্বংসযজ্ঞের তান্ডবলীলা কি ভাবে চলছে।
ক. কুরআনে মদ্য পানে নিষিদ্ধতা

হে ঈমান গ্রহণকারী লোকেরা! মদ ও জুয়া, পাশা খেলা, তীর ছুঁড়ে ভাগ্র জানা এগুলো শয়তানের নিকৃষ্ট ধরনের জঘন্য কারসাজি। এসব পরিহার করো যেন তোমরা উন্নত (মানবতার) পথে এগিয়ে আসতে পারো। (৫:৯০)
খ. বাইবেলে মদের নিষিদ্ধতা
১. মদ্য একটি প্রতারক, কঠিন পানীয়, কুৎসীত কাজের উৎসাহক এবং যে এতে অভ্যস্ত হলো সে মুর্খতায় নিমজ্জিত হলো। (বাইবেলের নীতিবাক্য, মূল গ্রন্থঃ ২০-১)
২. আর মদ্য পানে মাতাল হয়ো না। (এফিসিয়ানেসঃ৫:১৪)
গ. এলকোহল বিবেককে বাধাগ্রস্ত করে
মানুষের মগজে একটি বিবেচনা কেন্দ্র আছে। এ বিবেচনা কেন্দ্র মানুষকে সেই সব কাজ করতে বাধাগ্রস্থ করে, যেসব কাজ সে মন্দ বলে জ্ঞান করে। যেমন কোনো লোক সাধারণত তার পিতা-মাতা এবং গুরুজনের কথা বলার সময় অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করে । তাকে যদি কখনো প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে হয় (পায়খানা পেশাব) তার বিবেচনা কেন্দ্র তাকে বাধা দেবে জনসমক্ষে এ কাজ করতে। এ জন্য সে গোপন জায়গা ব্যবহার করে।
মানুষ যখন মদ পান করে, তখন তার মগজের এই বিবেচনা কেন্দ্র স্থবীর হয়ে পড়ে (অর্থাৎ নিজেই কাজ করতে বাধাগ্রস্ত হয় )। মদ্য পানে মাতাল ব্যক্তিকে যে অস্বাভাবিক আচার আচরণ করতে দেখা যায়। তার সুনির্দিষ্ট কারণ এটাই। যেমন মাতাল লোককে অসন্মানজনক কথা বলতে দেখা যায়, এমনকি সে যদি তার পিতা-মাতার সাথেও কথা বলতে থাকে। কেননা তখন তার এই ভুলকে উপলদ্ধি করতেই সক্ষম হয় না। মাতাল হয়ে অনেকেই পেশাব করে দেয় তাদের কাপড়ে। না তখন সে ঠিক মতো কথা বলতে পারে, না পারে সোজা পায়ে হাঁটতে।
ঘ. ব্যভিচার, ধর্ষণ, নিসিদ্ধ আত্মিয়ার সাথে জোরপূর্বক যৌনতা এই সবকিছু মদ্যপায়ীদের মধ্যে বেশি পাওয়া যায়।

আমেরিকার ন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এর ন্যাশনাল ভিকটিমাইযেশান সারভে ব্যুরো অব জাষ্টিস-এর পরিসংখ্যানে শুধু মাত্র ১৯৯৬ সালে প্রতিদিন গড়ে ২৭১৩ ধর্ষণের ঘটনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, রিপোর্টের মন্তব্য বলা হয়েছে ধর্ষকদের অধিকাংশই ঘটনার সময় মাতাল ছিল, নারী উৎপীড়নের ক্ষেত্রেও এদেরকেই বেশি পাওয়া যায়।
একই পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৮% আমেরিকান মা-বোন, অথবা কন্যার সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত। অর্থাৎ প্রতি বারো বা তেরে জনের একজন আমেরিকান এই কর্মে অভ্যস্ত এবং দু’জনের একজন অথবা উভয়ে এসময় মাতাল থাকে। এইড্স বিস্তারের ক্ষেত্রে মাদকের ভুমিকা কান ও মাথার মতো (অর্থাৎ কান টানলে মাথা আসে) তাই মাদকাসক্তিই মারাত্মক ও প্রাণঘাতি ব্যাধি।
ঙ. প্রতিটি মাদকাসক্তিই লোকই প্রাথমিক পর্যায়ে সৌখীন পানকারী থাকে
অনেকেই মদের পক্ষ অবলম্বন করে বলবেন, ভাই পার্টি-পরিবেশে একটু আধটু হলে ভালোই লাগে। আমাদের দৌড় ঐ পর্যন্তই। এক কি দুপেগ। আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখি, আমরা মাতাল হইনা কখোনো ইত্যাদি ইত্যাদি।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের ফলাফল এই যে, প্রত্যেকটি মদ্যপ মাতালই প্রাথমীক পর্যায়ে সৌখীন পানকারী ছিল। এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি যে মদ্যপ বা মাতাল হয়ে যাবার জন্য মদ পান শুরু করেছিল। অপরদিকে কোনো সৌখীন মদ পানকারীই একথা বলতে পারবেনা যে, দীর্ঘ দীর্ঘ দিন যাবত এভাবেই দু’এক পেগ করেই খেয়ে এসেছি। কোনো দিন মাত্রা ছাড়িয়ে যাইনি। আর মাতাল হলে কেমন লাগে সে স্বাদও পাইনি।
চ. জীবনে একবারও যদি কেউ মাতাল হয়ে লজ্জাকর কোনো কাজ করে থাকে সে স্মৃতি তাকে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত ভোগাবে।
ধরুন, কোনো সৌখীন সামাজিক মদপানকারী, জীবনে মাত্র একবার নিজের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মাতাল হয়েছিল। আর সেই দিনই তার দ্বারা ধর্ষণ বা আপনজন কারো ওপরে যৌন অত্যাচার মূলক কোনো দুর্ঘটনা গিয়েছিল। পরবর্তীকালে যদি সে,সেই কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ক্ষমা পেয়েও গিয়ে থাকে তবু সুস্থ ও স্বাভাবিক একজন মানুষকে সারাজীবন সেই স্মৃতির কুৎসীৎ যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে- যে করেছে সে এবং যার ওপর তা সংঘটিত হয়েছে সে -উভয়কেই এই অপুরণীয় ও অপরিবর্তনীয় ক্ষতির ভোগান্তি পোহাতে হবে।
ছ. হাদীসে মদের নিষিদ্ধতা
*
রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ
১. মদ সকল মন্দ ও অশ্লীলতার মা (উৎস) এবং যাবতীয় মন্দের মধ্যে ওটা সবচাইতে লজ্জাকর। সুনামে ইবনে মাজাহ্ অধ্যায় ৩০ । হাদীস নং ৩৩৭১।
২. এমন সকল, যা নেশাগ্রস্ত করে অনেক পরিমাণে তা নিষেধ (হারাম)। এমনকি তা অল্প পরিমাণ গ্রহণ করা হলেও। তাই এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। তা এক ঢোক অথবা এক ড্রাম।
৩. হযরত আয়শা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, মদের সাথে জড়িত এমন দশ শ্রেণীর লোকদের ওপরে আল্লাহর অভিশাপ। (১) যারা তা তৈরী করে (২) যাদের জন্য তা বানানো হয় (৩) যারা তা পান করে। (৪) যারা তা বহন করে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যায় (৫) যাদের জন্য তা নিয়ে আসা হয় (৬) যারা তা পরিবেশন করে। (৭) যারা তা বিক্রি করে (৮) যারা তা বিক্রি লব্ধ টাকা ব্যবহার করে (৯) যারা তা কেনে এবং (১০) যারা তা কেনে অন্য আর একজনের জন্য।
ছ. মদ্যপায়ীরা যে সব রোগে আক্রান্ত হয়
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সামনে এমন বেশ কিছু রোগের উৎপত্তি স্পষ্ট হয়ে গেছে যেসব রোগে সাধারনত মদ্যপায়ীরাই আক্রান্ত হয়। মদ এমন একটি কারণ, যে কারণে সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধু মদ পানের কারণে পৃথিবী থেকে অকালে বিদায় নিতে বাধ্য হয়। সাধারণত মদ্যপায়ীরাই আক্রান্ত হয় এমন অতি পরিচিত কিছু রোগের একটি ছোট্ট তালিকা দেয়া হলোঃ
১). যকৃৎ বা কলিজা শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া। যা লিভার সিরোসিস নামে পরিচিত।
২). অম্লনালীর ক্যান্সার এবং মাথা, গলা, কলিজা ও মল নালীর ক্যান্সার।
৩). অগ্ন্যাশয় ও যকৃতের প্রদাহ।
৪). হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বা হৃদয় স্পন্দন সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ, হাইপার টেনশান।
৫). হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালেন নালী সমূহের যাবতীয় রোগ, গলনালী প্রদাহ এবং হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৬). পক্ষাঘাত, সন্যাস রোগ এরকম আরো অন্যান্য প্যারালাইসিস।
৭). স্নায়ু ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগ।
এরকম আরো অসংখ্য- বাংলা ভাষায় যেসবের নামকরণ বেশ কষ্টসাধ্য। একারণে তালিকাও এখানেই ইতি টানা হলো।
জ. মাদকাসক্তিই একটি রোগ
*

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মদ্যপায়ীদের ব্যাপারে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছেছেন। তারা এটাকে এখন আর নেশা বলেন না,বলেন এটা নিজেই একটা রোগ। ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ একটা পোষ্টার বের করেছে, তাতে বলা হয়েছে যদি‘মদই’ রোগ হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীতে এটাই একমাত্র রোগ যা সুন্দর সুন্দর বোতলে ভরে বিক্রি হয়।
: পত্র-পত্রিকা এবং রেডিও টেলিভিশনের মতো প্রচার মাধ্যেমে তার বিজ্ঞাপন করা হয়।
: সরকারেরজন্য রাজস্ব আমদানী করে।
: মৃত্যুকেযে প্রকাশ্য রাজপথে নিয়ে আসে।
: পারিবারিকজীবন ধ্বংস ও অপরাধ প্রবণতার আসল হোতা।
মদ শুধু একটি রোগই নয় - শয়তানের কারসাজি এটা
*

আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা মানুষের জন্য তাঁর সর্বোত্তম অনুগ্রহ আল-কুরআনে শয়তানের পাতা এই লোভনীয় ফাঁদ সম্পর্কে আমাদেরকে সাবধান করে দিয়েছেন। তাই কুরআনে বিদ্ধৃত জীবন যাপন পদ্ধতিতে ‘দ্বীনুল ফিৎরাহ’ বা মানুষের প্রকৃতিসম্মত জীবনব্যবস্থা ‘ইসলাম’ বলা হয়। এর সকল বিধি-নিষেধের আসল উদ্দেশ্য মানব প্রকৃতিকে সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা। মদ মানুষকে তার প্রকৃতগত স্বভাবের ওপর দাঁড়াতে দেয় না। একথা স্বতন্ত্র কোনো ব্যক্তির বেলায় যেমন সত্য তেমনি বৃহত্তর কোনো সমাজের ক্ষেত্রেও । এটা মানুষকে নিচে নামিয়ে পশুর পর্যায়ে নিয়ে আসে অথচ মানুষ দাবি করে যে, সে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠতম। সর্বোপরি ইসলামে মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ “হারাম”।

প্রশ্নঃ ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ কেন?
নিন্মে এই প্রশ্নের জবাবে কোরআন হাদীসের রেফারেন্স তুলে ধরা হল.........
স্মরণাতীত কাল থেকে বিশ্বমানবতার জন্য ‘এলকোহল’ তীব্র যন্ত্রনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। মদ অসংখ্য অগুনতী মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ এবং বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের ভয়ঙ্কর দুর্দশার কারণ। মানুষের সমাজে অসংখ্য সমস্যার নেপথ্যে আসল হেতু এই ‘এলকোহল’ বা মদ। অপরাধ প্রবনতার তীব্র উর্ধগতী, ক্রমবর্ধমান মানসিক বিপর্যয় এবং কোটি কোটি ভাঙ সংসার জীবন্ত প্রমাণ বহর করছে বিশ্ব জুড়ে এলকোহলের নিরব ধ্বংসযজ্ঞের তান্ডবলীলা কি ভাবে চলছে।
ক. কুরআনে মদ্য পানে নিষিদ্ধতা

হে ঈমান গ্রহণকারী লোকেরা! মদ ও জুয়া, পাশা খেলা, তীর ছুঁড়ে ভাগ্র জানা এগুলো শয়তানের নিকৃষ্ট ধরনের জঘন্য কারসাজি। এসব পরিহার করো যেন তোমরা উন্নত (মানবতার) পথে এগিয়ে আসতে পারো। (৫:৯০)
খ. বাইবেলে মদের নিষিদ্ধতা
১. মদ্য একটি প্রতারক, কঠিন পানীয়, কুৎসীত কাজের উৎসাহক এবং যে এতে অভ্যস্ত হলো সে মুর্খতায় নিমজ্জিত হলো। (বাইবেলের নীতিবাক্য, মূল গ্রন্থঃ ২০-১)
২. আর মদ্য পানে মাতাল হয়ো না। (এফিসিয়ানেসঃ৫:১৪)
গ. এলকোহল বিবেককে বাধাগ্রস্ত করে
মানুষের মগজে একটি বিবেচনা কেন্দ্র আছে। এ বিবেচনা কেন্দ্র মানুষকে সেই সব কাজ করতে বাধাগ্রস্থ করে, যেসব কাজ সে মন্দ বলে জ্ঞান করে। যেমন কোনো লোক সাধারণত তার পিতা-মাতা এবং গুরুজনের কথা বলার সময় অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করে । তাকে যদি কখনো প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে হয় (পায়খানা পেশাব) তার বিবেচনা কেন্দ্র তাকে বাধা দেবে জনসমক্ষে এ কাজ করতে। এ জন্য সে গোপন জায়গা ব্যবহার করে।
মানুষ যখন মদ পান করে, তখন তার মগজের এই বিবেচনা কেন্দ্র স্থবীর হয়ে পড়ে (অর্থাৎ নিজেই কাজ করতে বাধাগ্রস্ত হয় )। মদ্য পানে মাতাল ব্যক্তিকে যে অস্বাভাবিক আচার আচরণ করতে দেখা যায়। তার সুনির্দিষ্ট কারণ এটাই। যেমন মাতাল লোককে অসন্মানজনক কথা বলতে দেখা যায়, এমনকি সে যদি তার পিতা-মাতার সাথেও কথা বলতে থাকে। কেননা তখন তার এই ভুলকে উপলদ্ধি করতেই সক্ষম হয় না। মাতাল হয়ে অনেকেই পেশাব করে দেয় তাদের কাপড়ে। না তখন সে ঠিক মতো কথা বলতে পারে, না পারে সোজা পায়ে হাঁটতে।
ঘ. ব্যভিচার, ধর্ষণ, নিসিদ্ধ আত্মিয়ার সাথে জোরপূর্বক যৌনতা এই সবকিছু মদ্যপায়ীদের মধ্যে বেশি পাওয়া যায়।

আমেরিকার ন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এর ন্যাশনাল ভিকটিমাইযেশান সারভে ব্যুরো অব জাষ্টিস-এর পরিসংখ্যানে শুধু মাত্র ১৯৯৬ সালে প্রতিদিন গড়ে ২৭১৩ ধর্ষণের ঘটনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, রিপোর্টের মন্তব্য বলা হয়েছে ধর্ষকদের অধিকাংশই ঘটনার সময় মাতাল ছিল, নারী উৎপীড়নের ক্ষেত্রেও এদেরকেই বেশি পাওয়া যায়।
একই পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৮% আমেরিকান মা-বোন, অথবা কন্যার সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত। অর্থাৎ প্রতি বারো বা তেরে জনের একজন আমেরিকান এই কর্মে অভ্যস্ত এবং দু’জনের একজন অথবা উভয়ে এসময় মাতাল থাকে। এইড্স বিস্তারের ক্ষেত্রে মাদকের ভুমিকা কান ও মাথার মতো (অর্থাৎ কান টানলে মাথা আসে) তাই মাদকাসক্তিই মারাত্মক ও প্রাণঘাতি ব্যাধি।
ঙ. প্রতিটি মাদকাসক্তিই লোকই প্রাথমিক পর্যায়ে সৌখীন পানকারী থাকে
অনেকেই মদের পক্ষ অবলম্বন করে বলবেন, ভাই পার্টি-পরিবেশে একটু আধটু হলে ভালোই লাগে। আমাদের দৌড় ঐ পর্যন্তই। এক কি দুপেগ। আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখি, আমরা মাতাল হইনা কখোনো ইত্যাদি ইত্যাদি।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের ফলাফল এই যে, প্রত্যেকটি মদ্যপ মাতালই প্রাথমীক পর্যায়ে সৌখীন পানকারী ছিল। এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি যে মদ্যপ বা মাতাল হয়ে যাবার জন্য মদ পান শুরু করেছিল। অপরদিকে কোনো সৌখীন মদ পানকারীই একথা বলতে পারবেনা যে, দীর্ঘ দীর্ঘ দিন যাবত এভাবেই দু’এক পেগ করেই খেয়ে এসেছি। কোনো দিন মাত্রা ছাড়িয়ে যাইনি। আর মাতাল হলে কেমন লাগে সে স্বাদও পাইনি।
চ. জীবনে একবারও যদি কেউ মাতাল হয়ে লজ্জাকর কোনো কাজ করে থাকে সে স্মৃতি তাকে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত ভোগাবে।
ধরুন, কোনো সৌখীন সামাজিক মদপানকারী, জীবনে মাত্র একবার নিজের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মাতাল হয়েছিল। আর সেই দিনই তার দ্বারা ধর্ষণ বা আপনজন কারো ওপরে যৌন অত্যাচার মূলক কোনো দুর্ঘটনা গিয়েছিল। পরবর্তীকালে যদি সে,সেই কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ক্ষমা পেয়েও গিয়ে থাকে তবু সুস্থ ও স্বাভাবিক একজন মানুষকে সারাজীবন সেই স্মৃতির কুৎসীৎ যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে- যে করেছে সে এবং যার ওপর তা সংঘটিত হয়েছে সে -উভয়কেই এই অপুরণীয় ও অপরিবর্তনীয় ক্ষতির ভোগান্তি পোহাতে হবে।
ছ. হাদীসে মদের নিষিদ্ধতা
*
রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ
১. মদ সকল মন্দ ও অশ্লীলতার মা (উৎস) এবং যাবতীয় মন্দের মধ্যে ওটা সবচাইতে লজ্জাকর। সুনামে ইবনে মাজাহ্ অধ্যায় ৩০ । হাদীস নং ৩৩৭১।
২. এমন সকল, যা নেশাগ্রস্ত করে অনেক পরিমাণে তা নিষেধ (হারাম)। এমনকি তা অল্প পরিমাণ গ্রহণ করা হলেও। তাই এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। তা এক ঢোক অথবা এক ড্রাম।
৩. হযরত আয়শা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, মদের সাথে জড়িত এমন দশ শ্রেণীর লোকদের ওপরে আল্লাহর অভিশাপ। (১) যারা তা তৈরী করে (২) যাদের জন্য তা বানানো হয় (৩) যারা তা পান করে। (৪) যারা তা বহন করে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যায় (৫) যাদের জন্য তা নিয়ে আসা হয় (৬) যারা তা পরিবেশন করে। (৭) যারা তা বিক্রি করে (৮) যারা তা বিক্রি লব্ধ টাকা ব্যবহার করে (৯) যারা তা কেনে এবং (১০) যারা তা কেনে অন্য আর একজনের জন্য।
ছ. মদ্যপায়ীরা যে সব রোগে আক্রান্ত হয়
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সামনে এমন বেশ কিছু রোগের উৎপত্তি স্পষ্ট হয়ে গেছে যেসব রোগে সাধারনত মদ্যপায়ীরাই আক্রান্ত হয়। মদ এমন একটি কারণ, যে কারণে সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধু মদ পানের কারণে পৃথিবী থেকে অকালে বিদায় নিতে বাধ্য হয়। সাধারণত মদ্যপায়ীরাই আক্রান্ত হয় এমন অতি পরিচিত কিছু রোগের একটি ছোট্ট তালিকা দেয়া হলোঃ
১). যকৃৎ বা কলিজা শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া। যা লিভার সিরোসিস নামে পরিচিত।
২). অম্লনালীর ক্যান্সার এবং মাথা, গলা, কলিজা ও মল নালীর ক্যান্সার।
৩). অগ্ন্যাশয় ও যকৃতের প্রদাহ।
৪). হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বা হৃদয় স্পন্দন সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ, হাইপার টেনশান।
৫). হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালেন নালী সমূহের যাবতীয় রোগ, গলনালী প্রদাহ এবং হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৬). পক্ষাঘাত, সন্যাস রোগ এরকম আরো অন্যান্য প্যারালাইসিস।
৭). স্নায়ু ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগ।
এরকম আরো অসংখ্য- বাংলা ভাষায় যেসবের নামকরণ বেশ কষ্টসাধ্য। একারণে তালিকাও এখানেই ইতি টানা হলো।
জ. মাদকাসক্তিই একটি রোগ
*

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মদ্যপায়ীদের ব্যাপারে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছেছেন। তারা এটাকে এখন আর নেশা বলেন না,বলেন এটা নিজেই একটা রোগ। ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ একটা পোষ্টার বের করেছে, তাতে বলা হয়েছে যদি‘মদই’ রোগ হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীতে এটাই একমাত্র রোগ যা সুন্দর সুন্দর বোতলে ভরে বিক্রি হয়।
: পত্র-পত্রিকা এবং রেডিও টেলিভিশনের মতো প্রচার মাধ্যেমে তার বিজ্ঞাপন করা হয়।
: সরকারেরজন্য রাজস্ব আমদানী করে।
: মৃত্যুকেযে প্রকাশ্য রাজপথে নিয়ে আসে।
: পারিবারিকজীবন ধ্বংস ও অপরাধ প্রবণতার আসল হোতা।
মদ শুধু একটি রোগই নয় - শয়তানের কারসাজি এটা
*

আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা মানুষের জন্য তাঁর সর্বোত্তম অনুগ্রহ আল-কুরআনে শয়তানের পাতা এই লোভনীয় ফাঁদ সম্পর্কে আমাদেরকে সাবধান করে দিয়েছেন। তাই কুরআনে বিদ্ধৃত জীবন যাপন পদ্ধতিতে ‘দ্বীনুল ফিৎরাহ’ বা মানুষের প্রকৃতিসম্মত জীবনব্যবস্থা ‘ইসলাম’ বলা হয়। এর সকল বিধি-নিষেধের আসল উদ্দেশ্য মানব প্রকৃতিকে সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা। মদ মানুষকে তার প্রকৃতগত স্বভাবের ওপর দাঁড়াতে দেয় না। একথা স্বতন্ত্র কোনো ব্যক্তির বেলায় যেমন সত্য তেমনি বৃহত্তর কোনো সমাজের ক্ষেত্রেও । এটা মানুষকে নিচে নামিয়ে পশুর পর্যায়ে নিয়ে আসে অথচ মানুষ দাবি করে যে, সে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠতম। সর্বোপরি ইসলামে মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ “হারাম”।
Friday, 18 December 2015
আল কোরআন
সূরা নং-১ >> সূরা ফাতিহাঃ
=====================================
1.শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
2.যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের
পালনকর্তা।
3.যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
4.যিনি বিচার দিনের মালিক।
5.আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই
সাহায্য প্রার্থনা করি।
6.আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
7.সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান
করেছ।
তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে
এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
=======================================
*** নিজে পড়ুন, অন্যকে পড়তে সাহায্য করুন ***
সূরা নং-১ >> সূরা ফাতিহাঃ
=====================================
1.শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
2.যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের
পালনকর্তা।
3.যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
4.যিনি বিচার দিনের মালিক।
5.আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই
সাহায্য প্রার্থনা করি।
6.আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
7.সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান
করেছ।
তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে
এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
=======================================
*** নিজে পড়ুন, অন্যকে পড়তে সাহায্য করুন ***
হাদিসের গল্প
আবু হুরাইরা (রা:) ও এক
জ্বীনের গল্প
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রমজান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে যাকাতের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব দিলেন। দেখলাম, কোন এক
আগন্তুক এসে খাদ্যের মধ্যে হাত দিয়ে কিছু নিতে
যাচ্ছে। আমি তাকে ধরে ফেললাম। আর বললাম, আল্লাহর
কসম! আমি অবশ্যই তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর কাছে নিয়ে যাবো। সে বলল, আমি খূব
দরিদ্র মানুষ। আমার পরিবার আছে। আমার অভাব মারাত্নক। আবু
হুরাইরা বলেন, আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।
সকাল বেলা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে আসলাম, তখন তিনি বললেন, কী আবু হুরাইরা! গত
রাতের আসামীর খবর কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল!
সে তার প্রচন্ড অভাবের কথা আমার কাছে বলেছে।
আমি তার উপর দয়া করে তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অবশ্য সে
তোমাকে মিথ্যা বলেছে।দেখবে সে আবার আসবে।
আমি এ কথায় বুঝে নিলাম সে আবার আসবেই। কারণ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সে
আবার আসবে। আমি অপেক্ষায় থাকলাম। সে পরের রাতে
আবার এসে খাবারের মধ্যে হাত দিয়ে খুঁজতে লাগল। আমি
তাকে ধরে ফেললাম। আর বললাম, আল্লাহর কসম আমি
অবশ্যই তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর কাছে নিয়ে যাবো। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দাও।
আমি খুব অসহায়। আমার পরিবার আছে। আমি আর আসবো না।
আমি এবারও তার উপর দয়া করে তাকে ছেড়ে দিলাম। সকাল
বেলা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে আসলাম, তিনি বললেন, কী আবু হুরাইরা! গত রাতে
তোমার আসামী কী করেছে? আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসূল! সে তার চরম অভাবের কথা আমার কাছে
বলেছে। তার পরিবার আছে। আমি তার উপর দয়া করে
তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বললেন, অবশ্য সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে।
দেখো, সে আবার আসবে।
তৃতীয় দিন আমি অপেক্ষায় থাকলাম, সে আবার এসে
খাবারের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে খুঁজতে লাগল। আমি তাকে
ধরে ফেললাম। আর বললাম, আল্লাহর কসম আমি অবশ্যই
তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে নিয়ে যাবো। তুমি তিন বারের শেষ বার এসেছ।
বলেছ, আসবে না। আবার এসেছ। সে বলল, আমাকে
ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দেবো যা
তোমার খুব উপকারে আসবে। আমি বললাম কী সে
বাক্যগুলো? সে বলল, যখন তুমি নিদ্রা যাবে তখন আয়াতুল
কুরসী পাঠ করবে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে
তোমাকে একজন রক্ষক পাহাড়া দেবে আর সকাল পর্যন্ত
শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। আমি তাকে
ছেড়ে দিলাম।
সকাল বেলা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে আসলাম, তখন তিনি বললেন, কী আবু হুরাইরা! গত
রাতে তোমার আসামী কী করেছে? আমি বললাম, ইয়া
রাসূলাল্লাহ! সে আমাকে কিছু উপকারী বাক্য শিক্ষা
দিয়েছে, তাই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন,
তোমাকে সে কী শিক্ষা দিয়েছে? আমি বললাম, সে
বলেছে, যখন তুমি নিদ্রা যাবে, তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ
করবে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাকে
একজন রক্ষক পাহাড়া দেবে আর সকাল পর্যন্ত শয়তান
তোমার কাছে আসতে পারবে না।
আর সাহাবায়ে কেরাম এ সকল শিক্ষণীয় বিষয়ে খুব
আগ্রহী ছিলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বললেন, সে তোমাকে সত্য বলেছে যদিও সে
মিথ্যাবাদী। হে আবু হুরাইরা! গত তিন রাত যার সাথে কথা
বলেছো তুমি কি জানো সে কে?
আবু হুরাইরা বলল, না, আমি জানি না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বললেন, সে হল শয়তান।
(বর্ণনায় : বুখারী)
এ হাদীস থেকে আমরা যা শিখতে পেলাম তা হল:
(১) জনগণের সম্পদ পাহাড়া দেয়া ও তা রক্ষা করার জন্য
আমানতদার দায়িত্বশীল নিয়োগ দেয়া কর্তব্য। আবু হুরাইরা রা.
ছিলেন একজন বিশ্বস্ত আমানতদার সাহাবী।
(২) আবু হুরাইরা রা. দায়িত্ব পালনে একাগ্রতা ও আন্তরিকতার
প্রমাণ দিলেন। তিনি রাতেও না ঘুমিয়ে যাকাতের সম্পদ পাহাড়া
দিয়েছেন।
(৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এটি একটি
মুজেযা যে, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও আবু
হুরাইরার কাছে বর্ণনা শুনেই বুঝতে পেরেছেন
শয়তানের আগমনের বিষয়টি।
(৪) দরিদ্র অসহায় পরিবারের বোঝা বাহকদের প্রতি সাহাবায়ে
কেরামের দয়া ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ
দয়াকে স্বীকৃতি দিলেন। তিনি আবু হুরাইরা রা. কে বললেন
না, তাকে কেন ছেড়ে দিলে? কেন দয়া দেখালে?
(৫) সাহাবায়ে কেরামের কাছে ইলম বা বিদ্যার মূল্য কতখানি
ছিল যে, অপরাধী শয়তান যখন তাকে কিছু শিখাতে চাইল
তখন তা শিখে নিলেন ও তার মূল্যায়নে তাকে ছেড়েও
দিলেন।
(৬) খারাপ বা অসৎ মানুষ ও জিন শয়তান যদি ভাল কোন কিছু শিক্ষা
দেয় তা শিখতে কোন দোষ নেই। তবে কথা হল তার
ষড়যন্ত্র ও অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
সে তোমাকে সত্য বলেছে, তবে সে মিথ্যুক। এ
বিষয়টিকে শিক্ষার একটি মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করা যায়।
(৭) জিন শয়তান মানুষের খাদ্য-খাবারে হাত দেয়। তা থেকে
গ্রহণ করে ও নষ্ট করে।
(৮)আয়াতুল কুরসী একটি মস্তবড় সুরক্ষা। যারা আমল করতে
পারে তাদের উচিত এ আমলটি ত্যাগ না করা। রাতে নিদ্রার
পূর্বে এটি পাঠ করলে পাঠকারী সকল প্রকার অনিষ্টতা
থেকে মুক্ত থাকবে ও জিন শয়তান কোন কিছু তার উপর
চড়াও হতে পারবে না।
(৯) আয়াতুল কুরসী হল সূরা আল বাকারার ২৫৫ নং এই আয়াত :
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ﻟَﺎ ﺗَﺄْﺧُﺬُﻩُ ﺳِﻨَﺔٌ ﻭَﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ
ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ
ﺧَﻠْﻔَﻬُﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎﺀَ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ
ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺌُﻮﺩُﻩُ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ
অর্থ: আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব,
সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর
জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা
আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর
অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা
আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য
পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর
কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং
এ দুটোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ,
মহান।
আবু হুরাইরা (রা:) ও এক
জ্বীনের গল্প
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রমজান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে যাকাতের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব দিলেন। দেখলাম, কোন এক
আগন্তুক এসে খাদ্যের মধ্যে হাত দিয়ে কিছু নিতে
যাচ্ছে। আমি তাকে ধরে ফেললাম। আর বললাম, আল্লাহর
কসম! আমি অবশ্যই তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর কাছে নিয়ে যাবো। সে বলল, আমি খূব
দরিদ্র মানুষ। আমার পরিবার আছে। আমার অভাব মারাত্নক। আবু
হুরাইরা বলেন, আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।
সকাল বেলা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে আসলাম, তখন তিনি বললেন, কী আবু হুরাইরা! গত
রাতের আসামীর খবর কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল!
সে তার প্রচন্ড অভাবের কথা আমার কাছে বলেছে।
আমি তার উপর দয়া করে তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অবশ্য সে
তোমাকে মিথ্যা বলেছে।দেখবে সে আবার আসবে।
আমি এ কথায় বুঝে নিলাম সে আবার আসবেই। কারণ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সে
আবার আসবে। আমি অপেক্ষায় থাকলাম। সে পরের রাতে
আবার এসে খাবারের মধ্যে হাত দিয়ে খুঁজতে লাগল। আমি
তাকে ধরে ফেললাম। আর বললাম, আল্লাহর কসম আমি
অবশ্যই তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর কাছে নিয়ে যাবো। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দাও।
আমি খুব অসহায়। আমার পরিবার আছে। আমি আর আসবো না।
আমি এবারও তার উপর দয়া করে তাকে ছেড়ে দিলাম। সকাল
বেলা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে আসলাম, তিনি বললেন, কী আবু হুরাইরা! গত রাতে
তোমার আসামী কী করেছে? আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসূল! সে তার চরম অভাবের কথা আমার কাছে
বলেছে। তার পরিবার আছে। আমি তার উপর দয়া করে
তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বললেন, অবশ্য সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে।
দেখো, সে আবার আসবে।
তৃতীয় দিন আমি অপেক্ষায় থাকলাম, সে আবার এসে
খাবারের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে খুঁজতে লাগল। আমি তাকে
ধরে ফেললাম। আর বললাম, আল্লাহর কসম আমি অবশ্যই
তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে নিয়ে যাবো। তুমি তিন বারের শেষ বার এসেছ।
বলেছ, আসবে না। আবার এসেছ। সে বলল, আমাকে
ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দেবো যা
তোমার খুব উপকারে আসবে। আমি বললাম কী সে
বাক্যগুলো? সে বলল, যখন তুমি নিদ্রা যাবে তখন আয়াতুল
কুরসী পাঠ করবে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে
তোমাকে একজন রক্ষক পাহাড়া দেবে আর সকাল পর্যন্ত
শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। আমি তাকে
ছেড়ে দিলাম।
সকাল বেলা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে আসলাম, তখন তিনি বললেন, কী আবু হুরাইরা! গত
রাতে তোমার আসামী কী করেছে? আমি বললাম, ইয়া
রাসূলাল্লাহ! সে আমাকে কিছু উপকারী বাক্য শিক্ষা
দিয়েছে, তাই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন,
তোমাকে সে কী শিক্ষা দিয়েছে? আমি বললাম, সে
বলেছে, যখন তুমি নিদ্রা যাবে, তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ
করবে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাকে
একজন রক্ষক পাহাড়া দেবে আর সকাল পর্যন্ত শয়তান
তোমার কাছে আসতে পারবে না।
আর সাহাবায়ে কেরাম এ সকল শিক্ষণীয় বিষয়ে খুব
আগ্রহী ছিলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বললেন, সে তোমাকে সত্য বলেছে যদিও সে
মিথ্যাবাদী। হে আবু হুরাইরা! গত তিন রাত যার সাথে কথা
বলেছো তুমি কি জানো সে কে?
আবু হুরাইরা বলল, না, আমি জানি না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বললেন, সে হল শয়তান।
(বর্ণনায় : বুখারী)
এ হাদীস থেকে আমরা যা শিখতে পেলাম তা হল:
(১) জনগণের সম্পদ পাহাড়া দেয়া ও তা রক্ষা করার জন্য
আমানতদার দায়িত্বশীল নিয়োগ দেয়া কর্তব্য। আবু হুরাইরা রা.
ছিলেন একজন বিশ্বস্ত আমানতদার সাহাবী।
(২) আবু হুরাইরা রা. দায়িত্ব পালনে একাগ্রতা ও আন্তরিকতার
প্রমাণ দিলেন। তিনি রাতেও না ঘুমিয়ে যাকাতের সম্পদ পাহাড়া
দিয়েছেন।
(৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এটি একটি
মুজেযা যে, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও আবু
হুরাইরার কাছে বর্ণনা শুনেই বুঝতে পেরেছেন
শয়তানের আগমনের বিষয়টি।
(৪) দরিদ্র অসহায় পরিবারের বোঝা বাহকদের প্রতি সাহাবায়ে
কেরামের দয়া ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ
দয়াকে স্বীকৃতি দিলেন। তিনি আবু হুরাইরা রা. কে বললেন
না, তাকে কেন ছেড়ে দিলে? কেন দয়া দেখালে?
(৫) সাহাবায়ে কেরামের কাছে ইলম বা বিদ্যার মূল্য কতখানি
ছিল যে, অপরাধী শয়তান যখন তাকে কিছু শিখাতে চাইল
তখন তা শিখে নিলেন ও তার মূল্যায়নে তাকে ছেড়েও
দিলেন।
(৬) খারাপ বা অসৎ মানুষ ও জিন শয়তান যদি ভাল কোন কিছু শিক্ষা
দেয় তা শিখতে কোন দোষ নেই। তবে কথা হল তার
ষড়যন্ত্র ও অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
সে তোমাকে সত্য বলেছে, তবে সে মিথ্যুক। এ
বিষয়টিকে শিক্ষার একটি মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করা যায়।
(৭) জিন শয়তান মানুষের খাদ্য-খাবারে হাত দেয়। তা থেকে
গ্রহণ করে ও নষ্ট করে।
(৮)আয়াতুল কুরসী একটি মস্তবড় সুরক্ষা। যারা আমল করতে
পারে তাদের উচিত এ আমলটি ত্যাগ না করা। রাতে নিদ্রার
পূর্বে এটি পাঠ করলে পাঠকারী সকল প্রকার অনিষ্টতা
থেকে মুক্ত থাকবে ও জিন শয়তান কোন কিছু তার উপর
চড়াও হতে পারবে না।
(৯) আয়াতুল কুরসী হল সূরা আল বাকারার ২৫৫ নং এই আয়াত :
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ﻟَﺎ ﺗَﺄْﺧُﺬُﻩُ ﺳِﻨَﺔٌ ﻭَﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ
ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ
ﺧَﻠْﻔَﻬُﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎﺀَ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ
ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺌُﻮﺩُﻩُ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ
অর্থ: আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব,
সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর
জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা
আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর
অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা
আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য
পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর
কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং
এ দুটোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ,
মহান।
Thursday, 17 December 2015
রাজনীতি
__________আশিকুল ইসলাম
বলতে পারো বাংলার মানুষ.. রাজনীতি কেন করে?
গরীব কেন রাজনীতি সেই চাপে পড়ে জ্বলেপুরে মরে?
রাজনীতির ঐ ভোজের পাতে ফেলে লুচি ছানা-মিষ্টি,
গরীবরা পায় খোলামকুচি, একি অনাসৃষ্টি?
বলতে পারো রাজনীতির পিছে যারা,
দিনে-রাতে দৌড়ছে, গুলি আর চাপাডির কুপে পথেঘাটে কেন তারা মরছে?
রাজনীতির কাছে আমরা হলাম সস্তা মূল্যের খেলনা,
ক্ষমতায় গেলে আমারা হয়ে যায় তাদের কাছে ফ্যালনা.!
বলতে পারো তাদের মুখে যারা যোগায় খাদ্য,
তাদের পায়ের তলায় কেন (জনগণ) থাকতে বাধ্য?
আমার মনের প্রশ্ন এ'সব, মাথার মধ্য কামড়ায়,
দুই নেত্রীর ঢাক তৈরি (জনগণের) চামড়ায়।
__________আশিকুল ইসলাম
বলতে পারো বাংলার মানুষ.. রাজনীতি কেন করে?
গরীব কেন রাজনীতি সেই চাপে পড়ে জ্বলেপুরে মরে?
রাজনীতির ঐ ভোজের পাতে ফেলে লুচি ছানা-মিষ্টি,
গরীবরা পায় খোলামকুচি, একি অনাসৃষ্টি?
বলতে পারো রাজনীতির পিছে যারা,
দিনে-রাতে দৌড়ছে, গুলি আর চাপাডির কুপে পথেঘাটে কেন তারা মরছে?
রাজনীতির কাছে আমরা হলাম সস্তা মূল্যের খেলনা,
ক্ষমতায় গেলে আমারা হয়ে যায় তাদের কাছে ফ্যালনা.!
বলতে পারো তাদের মুখে যারা যোগায় খাদ্য,
তাদের পায়ের তলায় কেন (জনগণ) থাকতে বাধ্য?
আমার মনের প্রশ্ন এ'সব, মাথার মধ্য কামড়ায়,
দুই নেত্রীর ঢাক তৈরি (জনগণের) চামড়ায়।
Wednesday, 16 December 2015
✿•✿ একটি শিক্ষাণীয় গল্প ✿•✿
**গল্প থেকে শিক্ষা **
এক বনে বাঘ, সিংহ, ভালুক জোটবদ্ধ ছিল। তাদের আক্রমণে হরিণগুলো প্রায় প্রতিদিন হতাহত হতে লাগলো। হরিণদের সর্দার গোষ্ঠী রক্ষার কোন উপায় না পেয়ে, এক পর্যায় দু:শ্চিন্তায় মারা যায়। তার মৃত্যুর পর এক তরুন হরিণ নতুন সর্দার নির্বাচিত হয়।
নতুন সর্দার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ঘোষণা দিলেন,
তিনি এই দায়িত্বের যোগ্য নন এবং সর্দার হবার
মতো কোন যোগ্য হরিণ বর্তমানে তাদের
নেই, তাই খুব শীঘ্রই বাঘ, সিংহ, ভালুক কে আহবান
জানানো হবে, যেন তাদের কেউ একজন
হরিণদের সর্দার হন। এ ঘোষণার পর হরিণেরা
ক্ষুদ্ধ হয় কিন্তু তাদের করার কিছু ছিল না। তারা
দল
নেতার হুকুম মানতে বাধ্য।
এদিকে এ ঘোষণা শুনে বাঘ, সিংহ, ভালুক তো মহা
খুশী। তারা হরিণদের নতুন সর্দারকে বাহবা দিলেন।
আর সাথে সাথে মতলবও আঁটতে শুরু করলো। তারা
প্রত্যেকেই চায় হরিণদের সর্দার হতে। তাদের
বিশ্বাস হরিণদের সর্দার হতে পারলেই বিনা
বাঁধায়
প্রতিদিন পেট ভরে হরিণের মাংস খাওয়া যাবে।
সুতরাং
তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো।
এক পর্যায় বাঘ ঘুমন্ত অবস্থায় সিংহকে হত্যা করে।
তখন ভালুক অনুমান করে যে, সর্দার হতে বাঘ
তাকেও ছাড় দিবে না। যে কোন সময় বাঘ তাকেও
আক্রমণ করতে পারে। তাই ভালুক এক ফাঁদ পেতে
ঘুমের ভান করে থাকে। রাতে বাঘ চুপি চুপি
ভালুকের
খোঁজে যায়। কাছাকাছি পৌঁছে সে ভালুকের ওপর
ঝাপিয়ে পড়ে । ঠিক তখনই ভালুক অন্য পাশে
লাফিয়ে পড়ে । ফলে ভালুকের পেতে রাখা
ফাঁদে পড়ে বাঘ মারা যায়।
বাঘ ও সিংহের মৃত্যুর পর ভালুক একা হয়ে যায়। তখন
হরিণগুলো তরুন সর্দারের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ
হয়ে ভালুককে গুতিয়ে গুতিয়ে হত্যা করে। আর
এভাবেই বনে তরুন হরিণ সর্দার তার গোষ্ঠীকে
রক্ষা করলো।
এই গল্পের শিক্ষাণীয় দিক:
═══════════
✪ ঘোষিত বিষয়ের মূল উদ্দেশ্য অনেক সময়
অঘোষিত থাকে।
✪ শত্রুর শক্তি বিভাজন করতে পারলে পরাভূত করা
সহজ।
✪ ক্ষমতার মোহ, বিশ্বাসঘাতক সৃষ্টি করে।
✪ লোভে পা দিলে, ফাঁদে পড়তে হবে।
✪ ক্ষমতার লোভে পতন অবশ্যম্ভাবী।
✪ দল রক্ষায় তরুনরা যোগ্য ।
✪ লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
আমাদের ব্লগ.. hadisporun.blogspot.co.ke/?m=1
**গল্প থেকে শিক্ষা **
এক বনে বাঘ, সিংহ, ভালুক জোটবদ্ধ ছিল। তাদের আক্রমণে হরিণগুলো প্রায় প্রতিদিন হতাহত হতে লাগলো। হরিণদের সর্দার গোষ্ঠী রক্ষার কোন উপায় না পেয়ে, এক পর্যায় দু:শ্চিন্তায় মারা যায়। তার মৃত্যুর পর এক তরুন হরিণ নতুন সর্দার নির্বাচিত হয়।
নতুন সর্দার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ঘোষণা দিলেন,
তিনি এই দায়িত্বের যোগ্য নন এবং সর্দার হবার
মতো কোন যোগ্য হরিণ বর্তমানে তাদের
নেই, তাই খুব শীঘ্রই বাঘ, সিংহ, ভালুক কে আহবান
জানানো হবে, যেন তাদের কেউ একজন
হরিণদের সর্দার হন। এ ঘোষণার পর হরিণেরা
ক্ষুদ্ধ হয় কিন্তু তাদের করার কিছু ছিল না। তারা
দল
নেতার হুকুম মানতে বাধ্য।
এদিকে এ ঘোষণা শুনে বাঘ, সিংহ, ভালুক তো মহা
খুশী। তারা হরিণদের নতুন সর্দারকে বাহবা দিলেন।
আর সাথে সাথে মতলবও আঁটতে শুরু করলো। তারা
প্রত্যেকেই চায় হরিণদের সর্দার হতে। তাদের
বিশ্বাস হরিণদের সর্দার হতে পারলেই বিনা
বাঁধায়
প্রতিদিন পেট ভরে হরিণের মাংস খাওয়া যাবে।
সুতরাং
তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো।
এক পর্যায় বাঘ ঘুমন্ত অবস্থায় সিংহকে হত্যা করে।
তখন ভালুক অনুমান করে যে, সর্দার হতে বাঘ
তাকেও ছাড় দিবে না। যে কোন সময় বাঘ তাকেও
আক্রমণ করতে পারে। তাই ভালুক এক ফাঁদ পেতে
ঘুমের ভান করে থাকে। রাতে বাঘ চুপি চুপি
ভালুকের
খোঁজে যায়। কাছাকাছি পৌঁছে সে ভালুকের ওপর
ঝাপিয়ে পড়ে । ঠিক তখনই ভালুক অন্য পাশে
লাফিয়ে পড়ে । ফলে ভালুকের পেতে রাখা
ফাঁদে পড়ে বাঘ মারা যায়।
বাঘ ও সিংহের মৃত্যুর পর ভালুক একা হয়ে যায়। তখন
হরিণগুলো তরুন সর্দারের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ
হয়ে ভালুককে গুতিয়ে গুতিয়ে হত্যা করে। আর
এভাবেই বনে তরুন হরিণ সর্দার তার গোষ্ঠীকে
রক্ষা করলো।
এই গল্পের শিক্ষাণীয় দিক:
═══════════
✪ ঘোষিত বিষয়ের মূল উদ্দেশ্য অনেক সময়
অঘোষিত থাকে।
✪ শত্রুর শক্তি বিভাজন করতে পারলে পরাভূত করা
সহজ।
✪ ক্ষমতার মোহ, বিশ্বাসঘাতক সৃষ্টি করে।
✪ লোভে পা দিলে, ফাঁদে পড়তে হবে।
✪ ক্ষমতার লোভে পতন অবশ্যম্ভাবী।
✪ দল রক্ষায় তরুনরা যোগ্য ।
✪ লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
আমাদের ব্লগ.. hadisporun.blogspot.co.ke/?m=1
Tuesday, 15 December 2015
***গল্প থেকে শিক্ষা ***
বিল গেটস ও হোটেল বয়
বিল গেটস একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গেছে খাওয়ার
পর বিল গেটস ওয়েটারকে ৫ ডলার বকশিস
দিল...বকসিস পেয়ে ওয়েটার বিল গেটস এর দিকে
হা করে তাকিয়ে রইল.... ওয়েটারের কাণ্ড দেখে
বিল গেটস জিজ্ঞেস করল "কি হয়েছে? আমার
দিকে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
ওয়েটার বলল "স্যার গতকাল আপনার মেয়ে এইখানে
নাস্তা করার পর আমাকে ১০০ ডলার বকসিস
দিয়েছেন আর আপনি তার বাবা এবং এত বড় ধনী
হয়ে আমাকে মাত্র ৫ ডলার দিলেন?"
বিল গেটস হেসে ওয়েটারকে বলল "সে হচ্ছে
বিশ্বের এক নম্বর ধনী মানুষের মেয়ে আর আমি
হচ্ছি একজন কাঠুরিয়ার ছেলে"
শিক্ষা:-
কখনো আপনার অতীতকে ভুলে যাবেন না। অতীত
হচ্ছে একজন মানুষের সবচেয়ে ভাল শিক্ষক।
বিল গেটস ও হোটেল বয়
বিল গেটস একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গেছে খাওয়ার
পর বিল গেটস ওয়েটারকে ৫ ডলার বকশিস
দিল...বকসিস পেয়ে ওয়েটার বিল গেটস এর দিকে
হা করে তাকিয়ে রইল.... ওয়েটারের কাণ্ড দেখে
বিল গেটস জিজ্ঞেস করল "কি হয়েছে? আমার
দিকে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
ওয়েটার বলল "স্যার গতকাল আপনার মেয়ে এইখানে
নাস্তা করার পর আমাকে ১০০ ডলার বকসিস
দিয়েছেন আর আপনি তার বাবা এবং এত বড় ধনী
হয়ে আমাকে মাত্র ৫ ডলার দিলেন?"
বিল গেটস হেসে ওয়েটারকে বলল "সে হচ্ছে
বিশ্বের এক নম্বর ধনী মানুষের মেয়ে আর আমি
হচ্ছি একজন কাঠুরিয়ার ছেলে"
শিক্ষা:-
কখনো আপনার অতীতকে ভুলে যাবেন না। অতীত
হচ্ছে একজন মানুষের সবচেয়ে ভাল শিক্ষক।
Monday, 14 December 2015
☞ গল্প থেকে শিক্ষা
∷∷∷∷∷∷∷মন্তব্য∷∷∷∷∷∷∷
এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক তার ২৫ বছর বয়সের ছেলেসহট্রেনে
করে বাসায় ফিরছেন।ছেলেটা ট্রেনের জানালা
দিয়ে আশেপাশের প্রকৃতি দেখছে। ছেলে: (ট্রেনের
জানালা দিয়ে তাকিয়ে) "বাবা! কি মজা!
দেখো,ট্রেনের বাইরেরগাছগুলো সব পিছনের দিকে
যাচ্ছে!"
বাবা: (হাসিমুখে)"Yah ... Cheers my son ..." ছেলে:
(কিছুক্ষণ পর)"বাবা!দেখো,কি সুন্দর পুকুর। পুকুরের
উপর ঐ ছোট্ট ছোট্টপাখিগুলো কোনপাখি,বাবা?"
বাবা: (হাসিমুখে)"ওগুলো মাছরাঙ্গা পাখি।"
ট্রেনে তাদের পাশে এক ভদ্রলোক বসা ছিলো।সে
চিন্তা করে পাচ্ছে না যে কিভাবে এই ২৫ বছর
বয়স্ক ছেলেটা বাচ্চাদের মত আচরণ করছে, অল্প
কিছু দেখেই আনন্দিত হচ্ছে।কিছুক্ষন পর বৃষ্টি পড়া
শুরু করলো এবংবৃষ্টির কিছু ফোটা এসে ছেলেটার
হাতের উপর পড়লো।
ছেলে: (খুব খুশি হয়ে) "বাবা!দেখো দেখো ... বাইরে
বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফোটা আমার হাতের উপর পড়ছে।
"
এমন সময় ভদ্রলোক তার কৌতূহল দমন করতে পারলো
না।সে ছেলেটার বাবাকে বললো,"আপনার ছেলের
বয়স হিসেবে যথেষ্ট ইমম্যাচিউর।তাকে কেন একজন
ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান না।
হসপিটালে ডাক্তারদের সাজেশন মত চললে সে সুস্থ
হয়ে যাবে।"
ছেলেটার বাবা উত্তর দিল,"আমরা হসপিটাল থেকেই
বাসায় ফিরছি।সে এখন কমপ্লিট সুস্থ।তার চোখের
অপারেশন হওয়ার পর আজ সে জীবনে প্রথমবারের
মতো দেখতে পারছে।" এসময় তার. চোখের কোনা
দিয়ে একফোটা পানি বের হয়ে আসলো।।
⇄শিক্ষা:-
কারো বাইরের অবস্থা দেখে আমাদের কোনো
মন্তব্য করা উচিৎ না।। কারণ আপনি হয়তো জানেন
না সে কোন অবস্থায় আছে
https://m.facebook.com/হাদীস-পড়ুন-সুন্দর-জীবন-গড়ুন-Hadis-Prun-Sundr-Jibon-Grun-733729010024574/
ভালো লাগলে আমাদের ফেইজে টা শেয়ার করার অনুরোধ রইলো
∷∷∷∷∷∷∷মন্তব্য∷∷∷∷∷∷∷
এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক তার ২৫ বছর বয়সের ছেলেসহট্রেনে
করে বাসায় ফিরছেন।ছেলেটা ট্রেনের জানালা
দিয়ে আশেপাশের প্রকৃতি দেখছে। ছেলে: (ট্রেনের
জানালা দিয়ে তাকিয়ে) "বাবা! কি মজা!
দেখো,ট্রেনের বাইরেরগাছগুলো সব পিছনের দিকে
যাচ্ছে!"
বাবা: (হাসিমুখে)"Yah ... Cheers my son ..." ছেলে:
(কিছুক্ষণ পর)"বাবা!দেখো,কি সুন্দর পুকুর। পুকুরের
উপর ঐ ছোট্ট ছোট্টপাখিগুলো কোনপাখি,বাবা?"
বাবা: (হাসিমুখে)"ওগুলো মাছরাঙ্গা পাখি।"
ট্রেনে তাদের পাশে এক ভদ্রলোক বসা ছিলো।সে
চিন্তা করে পাচ্ছে না যে কিভাবে এই ২৫ বছর
বয়স্ক ছেলেটা বাচ্চাদের মত আচরণ করছে, অল্প
কিছু দেখেই আনন্দিত হচ্ছে।কিছুক্ষন পর বৃষ্টি পড়া
শুরু করলো এবংবৃষ্টির কিছু ফোটা এসে ছেলেটার
হাতের উপর পড়লো।
ছেলে: (খুব খুশি হয়ে) "বাবা!দেখো দেখো ... বাইরে
বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফোটা আমার হাতের উপর পড়ছে।
"
এমন সময় ভদ্রলোক তার কৌতূহল দমন করতে পারলো
না।সে ছেলেটার বাবাকে বললো,"আপনার ছেলের
বয়স হিসেবে যথেষ্ট ইমম্যাচিউর।তাকে কেন একজন
ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান না।
হসপিটালে ডাক্তারদের সাজেশন মত চললে সে সুস্থ
হয়ে যাবে।"
ছেলেটার বাবা উত্তর দিল,"আমরা হসপিটাল থেকেই
বাসায় ফিরছি।সে এখন কমপ্লিট সুস্থ।তার চোখের
অপারেশন হওয়ার পর আজ সে জীবনে প্রথমবারের
মতো দেখতে পারছে।" এসময় তার. চোখের কোনা
দিয়ে একফোটা পানি বের হয়ে আসলো।।
⇄শিক্ষা:-
কারো বাইরের অবস্থা দেখে আমাদের কোনো
মন্তব্য করা উচিৎ না।। কারণ আপনি হয়তো জানেন
না সে কোন অবস্থায় আছে
https://m.facebook.com/হাদীস-পড়ুন-সুন্দর-জীবন-গড়ুন-Hadis-Prun-Sundr-Jibon-Grun-733729010024574/
ভালো লাগলে আমাদের ফেইজে টা শেয়ার করার অনুরোধ রইলো
Sunday, 13 December 2015
প্রশ্ন :- শরীয়তের দৃষ্টিতে দাড়ি রাখার হুকুম কি? পরিমাণ কতটুকু? শুনেছি শরয়ী পরিমাপ থেকে দাঁড়ি রাখেন এমন ব্যাক্তি সর্বদা গুনাহ লিপ্ত থাকেন, কথাটি কতটুকু সঠিক?
উত্তর:-
প্রথমে একটি হাদিস দেখি:
যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন
আমাকেই মুহাব্বত করল। আর যে আমাকে মুহাব্বত করল
সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে।
(তিরমিযী শরীফ, মেশকাত- পৃ: ৩০)
দাঁড়ির হুকুম ও পরিমাপ:
ইসলামী শরীয়তে একমুষ্টি পরমান লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব বা
আবশ্যক। দাঁড়ি এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুন্ডিয়ে
সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবীরা গুনাহ। স্বয়ং হুজুর স. এর দাঁড়ি
রাখা এবং তার অসংখ্য হাদীসে উম্মতের প্রতি দাঁড়ি রাখার সাধারণ
নির্দেশই প্রমান করে যে, দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং না রাখা হারাম।
কারন, শরীয়ত প্রবর্তক কর্তৃক কোন বিষয়ের প্রতি সাধারন
নির্দেশ হলে তা পালন করা ওয়াজিব এবং বিপরীত করা হারাম
হয়ে যায়। আরে এটা ফিক্বাহ শাস্ত্রের একটি মূলনীতিও
বটে। এছাড়া সাহাবা, সালফে সালেহীন এবং ফুক্বাহাগণের দাঁড়ি
রাখার নিরবচ্ছিন্ন আমল এবং তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারাও
এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা
হারাম প্রমাণিত হয়।
নিম্নে দাঁড়ি সম্পর্কিত কতিপয় হাদীস, সাহাবাগণের আমল ও
ফুক্বাহাগণের উক্তিসমূহ উল্লেখ করা হল:
হাদীস শরীফে দাঁড়ি:
১. হযরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল স. ইরশাদ করেছেন,
দশটি বিষয় সকল নবী রাসূলগণের সুন্নাত। তন্মধ্যে গোঁফ
ছোট করা এবং দাঁড়ি লম্বা করা অন্যতম।
(মুসলিম শরীফ,১/১২৯)
২. হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল স. ইরশাদ
করেছেন, তোমরা গোঁফ কাট এবং দাঁড়ি লম্বা কর, আর
অগ্নিপূজকদের বিরোধিতা কর।
(মুসলিম শরীফ,১/১২৯)
৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল স.
ইরশাদ করেন, মুশরিকদের বিরোধিতরা কর, দাঁড়ি লম্বা কর,
আর গোঁফ ছোট কর।
(বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫, মুসলিম)
৪. হুজুর স. বলেছেন যে, তোমরা ভালভাবে গোঁফ কাট
এবং দাড়ি বাড়াও। (বুখারী শরীফ)
৫. হুজুর স. এরশাদ করেন যে, গোঁফ কাট এবং দাড়ি ছড়িয়ে
রাখ। (কাজী এয়াজ শরহে মুসলিম নববী)
৬. হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম স. ইরশাদ
করেন, দাড়ি বাড়াও , গোঁফ কাট এবং এ ক্ষেত্রে ইহুদী-
খ্রীষ্টানদের সাদৃশ্য অবলম্বন করোনা। (মাসনাদে আহমদ)
৭. নবী করীম স. এর আমল দ্বারাও দাড়ি প্রমান পাওয়া যায়।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, সাহাবী হযরত খাব্বাব
রা.-কে কেউ জিজ্ঞেস করেন, হুজুর পাক স. কি জোহর
ও আছর নামাযে কেরআত পাঠ করতেন? তিনি বলেন, হ্যা,
পাঠ করতেন। লোকটি পুন:প্রশ্ন করেন, আপনি কিভাবে তা
বুঝতেন ? তিনি বলেন হুজুর স.-এর দাড়ি মুবারকের দোলায়
আমরা বুঝতাম যে, তিনি কিরআত পাঠ করছেন। (তাহাবী
শরীফ)
বলাবাহুল্য, কেরআত পাঠকালে ঐ দাড়ি দোলাই পরিদৃষ্ট হবে,
যা যথেষ্ট দীর্ঘ হয়, ছোট ছোট দাড়ি কখনো দুলবে
না।
এক নজরে দাড়ি:
১. দাড়ি বাড়াও। (বুখারী, মুসলিম শরীফ)
২. দাড়ি পূর্ণ কর। (মুসলিম শরীফ)
৩. দাড়ি ঝুলন্ত ও লম্বা রাখ। (মুসলিম শরীফ)
৪. দাড়ি বহার রাখ। (মাজমাউল বিহার)
৫. দাড়ি বেশী রাখ (বুখারী, মুসলিম)
৬. দাড়িকে ছাড়, অর্থাৎ কর্তন করো না। (তাবরানী)
দাঁড়ি ও সাহাবায়ে কেরামের আমল :
১.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.যখন হজ্জ্ব বা উমরা আদায়
করতে, তখন স্বীয় দাঁড়ি মুষ্টি করে ধরতেন, অতঃপর
অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।
(বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫)
২. হযরত আবু হুরায়রা রা. স্বীয় দাঁড়ি ধরতেন, অতঃপর অতিরিক্ত
অংশ কেটে ফেলতেন।
(মুসান্নাফ লি-ইবনি আবি শাইবা- ১৩/১১২)
দাঁড়ি ও ফুক্বাহাদের উক্তি:
১. হানাফী মাযহাবের কিতাব শরহে মুনহাল ও শরহে মানজুমাতুর
আদবের মধ্যে লিখেছেন, নির্ভরযোগ্য ফতোয়া হল
দাড়ি মুন্ডানো হারাম।
২.মাওলানা আশেকে এলাহী মিরাঠী রহ. তার প্রণিত “’”দাড়ি
কী কদর ও কীমত” কিতাবে চার মাজহাবের
ফক্বীহগণের মতামত শাফেয়ী মাজাহাবের প্রামান্য গ্রন্থ
“আল ওবাব” হতে উদ্বৃত করেছেন :
ইমাম ইবনুর রাফ’আ বলেন, ইমাম শাফেয়ী রহ. “আলউম্ম”
কিতাবে লেখেন যে, দাড়ি কাটা হারাম।
৩. মালেকী মাজহাব মতেও দাড়ি মুন্ডন করা হারাম।
অনুরূপভাবে ছুরত বিগড়ে যাওয়া মত ছেটে ফেলাও হারাম।
(কিতাবুল ওবদা)
৪. হাম্বলী মাজহাবের কিতাব “শাহহুল মুন্তাহা” ও “শরহে
মুজ্জুমাতুল আদব” এর উল্লেখ হয়েছে যে,
নির্ভরযোগ্য মত হল দাড়ি মুন্ডন করা হারাম।
অনুরূপ অন্যান্য গ্রন্থাকারও দাড়ি রাখা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে
মাননীয় ইমামদের ইজমা (ঐকমত) বর্ণনা করেছেন।
দাড়ি কর্তনকারী আল্লাহ পাকের দুশমনদের মধ্যে গণ্য
হওয়ার সম্ভাবনা:
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. নিজ রচিত “কিতাবুজ্জুহুদে”
আকীল ইবনে মোদরেক সালামী হতে উদ্ধৃতি করেন
যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বনী ইস্রাইলের এক নবীর নিকট
এই অহী প্রেরন করেন যে, তিনি যেন নিজ কওম বনী
ইস্রাইলকে এ কথা জানিয়ে দেন যে, তারা যেন আল্লাহ
তা’য়ালার দুশমনদের বিশেষ খাদ্য শুকরের গোশত না খায় এবং
তাদের বিশেষ পানীয় অর্থাৎ শরাব(মদ) পান না করে এবং
তাদের শিক্ল ছুরত (আকৃতি) না বানায়। যদি তারা এমন করে অর্থাৎ
শুকরের গোশত খায়, বা মদ পান করে, অথবা দাড়ি মুন্ডায় বা
ছোট করে (ফ্রেন্সকাট করে) অথবা বড় বড় মোচ
রাখে, তা’হলে তারাও আমার দুশমন হবে, যেমন তারা আমার
দুশমন। (দালায়েলুল আসর)
কওমে লূতের নিন্দনীয় বৈশিষ্ট্য ও ধ্বংসের কারন:
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে আসাকেরসহ আরো কতিপয় মুহাদ্দিস
হযরত হাসান রা. হতে নবী করীম স. এর এই মুবারক হাদীস
বর্ণনা করেন যে, দশ প্রকার পাপে লূত সম্প্রদায় ধ্বংস
হয়েছিল; তন্মধ্যে দাড়ি কাটা, গোঁফ বড় রাখা অন্যতম।
আল্লাহ সুবানুহুতা’'য়ালা আমাদের সকলকে দাঁড়ি রাখার গুরুত্ব
অনুধাবন করে যারা এখন দাঁড়ি রাখিনি তাদের দাঁড়ি রাখার তৌফিক দান
করুন
এবং যারা দাঁড়ি সম্পর্কে আজেবাজে মন্তব্য করেন তাদের
হেদায়াত দান করুন। আমীন।
উত্তর:-
প্রথমে একটি হাদিস দেখি:
যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন
আমাকেই মুহাব্বত করল। আর যে আমাকে মুহাব্বত করল
সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে।
(তিরমিযী শরীফ, মেশকাত- পৃ: ৩০)
দাঁড়ির হুকুম ও পরিমাপ:
ইসলামী শরীয়তে একমুষ্টি পরমান লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব বা
আবশ্যক। দাঁড়ি এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুন্ডিয়ে
সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবীরা গুনাহ। স্বয়ং হুজুর স. এর দাঁড়ি
রাখা এবং তার অসংখ্য হাদীসে উম্মতের প্রতি দাঁড়ি রাখার সাধারণ
নির্দেশই প্রমান করে যে, দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং না রাখা হারাম।
কারন, শরীয়ত প্রবর্তক কর্তৃক কোন বিষয়ের প্রতি সাধারন
নির্দেশ হলে তা পালন করা ওয়াজিব এবং বিপরীত করা হারাম
হয়ে যায়। আরে এটা ফিক্বাহ শাস্ত্রের একটি মূলনীতিও
বটে। এছাড়া সাহাবা, সালফে সালেহীন এবং ফুক্বাহাগণের দাঁড়ি
রাখার নিরবচ্ছিন্ন আমল এবং তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারাও
এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা
হারাম প্রমাণিত হয়।
নিম্নে দাঁড়ি সম্পর্কিত কতিপয় হাদীস, সাহাবাগণের আমল ও
ফুক্বাহাগণের উক্তিসমূহ উল্লেখ করা হল:
হাদীস শরীফে দাঁড়ি:
১. হযরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল স. ইরশাদ করেছেন,
দশটি বিষয় সকল নবী রাসূলগণের সুন্নাত। তন্মধ্যে গোঁফ
ছোট করা এবং দাঁড়ি লম্বা করা অন্যতম।
(মুসলিম শরীফ,১/১২৯)
২. হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল স. ইরশাদ
করেছেন, তোমরা গোঁফ কাট এবং দাঁড়ি লম্বা কর, আর
অগ্নিপূজকদের বিরোধিতা কর।
(মুসলিম শরীফ,১/১২৯)
৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল স.
ইরশাদ করেন, মুশরিকদের বিরোধিতরা কর, দাঁড়ি লম্বা কর,
আর গোঁফ ছোট কর।
(বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫, মুসলিম)
৪. হুজুর স. বলেছেন যে, তোমরা ভালভাবে গোঁফ কাট
এবং দাড়ি বাড়াও। (বুখারী শরীফ)
৫. হুজুর স. এরশাদ করেন যে, গোঁফ কাট এবং দাড়ি ছড়িয়ে
রাখ। (কাজী এয়াজ শরহে মুসলিম নববী)
৬. হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম স. ইরশাদ
করেন, দাড়ি বাড়াও , গোঁফ কাট এবং এ ক্ষেত্রে ইহুদী-
খ্রীষ্টানদের সাদৃশ্য অবলম্বন করোনা। (মাসনাদে আহমদ)
৭. নবী করীম স. এর আমল দ্বারাও দাড়ি প্রমান পাওয়া যায়।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, সাহাবী হযরত খাব্বাব
রা.-কে কেউ জিজ্ঞেস করেন, হুজুর পাক স. কি জোহর
ও আছর নামাযে কেরআত পাঠ করতেন? তিনি বলেন, হ্যা,
পাঠ করতেন। লোকটি পুন:প্রশ্ন করেন, আপনি কিভাবে তা
বুঝতেন ? তিনি বলেন হুজুর স.-এর দাড়ি মুবারকের দোলায়
আমরা বুঝতাম যে, তিনি কিরআত পাঠ করছেন। (তাহাবী
শরীফ)
বলাবাহুল্য, কেরআত পাঠকালে ঐ দাড়ি দোলাই পরিদৃষ্ট হবে,
যা যথেষ্ট দীর্ঘ হয়, ছোট ছোট দাড়ি কখনো দুলবে
না।
এক নজরে দাড়ি:
১. দাড়ি বাড়াও। (বুখারী, মুসলিম শরীফ)
২. দাড়ি পূর্ণ কর। (মুসলিম শরীফ)
৩. দাড়ি ঝুলন্ত ও লম্বা রাখ। (মুসলিম শরীফ)
৪. দাড়ি বহার রাখ। (মাজমাউল বিহার)
৫. দাড়ি বেশী রাখ (বুখারী, মুসলিম)
৬. দাড়িকে ছাড়, অর্থাৎ কর্তন করো না। (তাবরানী)
দাঁড়ি ও সাহাবায়ে কেরামের আমল :
১.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.যখন হজ্জ্ব বা উমরা আদায়
করতে, তখন স্বীয় দাঁড়ি মুষ্টি করে ধরতেন, অতঃপর
অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।
(বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫)
২. হযরত আবু হুরায়রা রা. স্বীয় দাঁড়ি ধরতেন, অতঃপর অতিরিক্ত
অংশ কেটে ফেলতেন।
(মুসান্নাফ লি-ইবনি আবি শাইবা- ১৩/১১২)
দাঁড়ি ও ফুক্বাহাদের উক্তি:
১. হানাফী মাযহাবের কিতাব শরহে মুনহাল ও শরহে মানজুমাতুর
আদবের মধ্যে লিখেছেন, নির্ভরযোগ্য ফতোয়া হল
দাড়ি মুন্ডানো হারাম।
২.মাওলানা আশেকে এলাহী মিরাঠী রহ. তার প্রণিত “’”দাড়ি
কী কদর ও কীমত” কিতাবে চার মাজহাবের
ফক্বীহগণের মতামত শাফেয়ী মাজাহাবের প্রামান্য গ্রন্থ
“আল ওবাব” হতে উদ্বৃত করেছেন :
ইমাম ইবনুর রাফ’আ বলেন, ইমাম শাফেয়ী রহ. “আলউম্ম”
কিতাবে লেখেন যে, দাড়ি কাটা হারাম।
৩. মালেকী মাজহাব মতেও দাড়ি মুন্ডন করা হারাম।
অনুরূপভাবে ছুরত বিগড়ে যাওয়া মত ছেটে ফেলাও হারাম।
(কিতাবুল ওবদা)
৪. হাম্বলী মাজহাবের কিতাব “শাহহুল মুন্তাহা” ও “শরহে
মুজ্জুমাতুল আদব” এর উল্লেখ হয়েছে যে,
নির্ভরযোগ্য মত হল দাড়ি মুন্ডন করা হারাম।
অনুরূপ অন্যান্য গ্রন্থাকারও দাড়ি রাখা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে
মাননীয় ইমামদের ইজমা (ঐকমত) বর্ণনা করেছেন।
দাড়ি কর্তনকারী আল্লাহ পাকের দুশমনদের মধ্যে গণ্য
হওয়ার সম্ভাবনা:
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. নিজ রচিত “কিতাবুজ্জুহুদে”
আকীল ইবনে মোদরেক সালামী হতে উদ্ধৃতি করেন
যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বনী ইস্রাইলের এক নবীর নিকট
এই অহী প্রেরন করেন যে, তিনি যেন নিজ কওম বনী
ইস্রাইলকে এ কথা জানিয়ে দেন যে, তারা যেন আল্লাহ
তা’য়ালার দুশমনদের বিশেষ খাদ্য শুকরের গোশত না খায় এবং
তাদের বিশেষ পানীয় অর্থাৎ শরাব(মদ) পান না করে এবং
তাদের শিক্ল ছুরত (আকৃতি) না বানায়। যদি তারা এমন করে অর্থাৎ
শুকরের গোশত খায়, বা মদ পান করে, অথবা দাড়ি মুন্ডায় বা
ছোট করে (ফ্রেন্সকাট করে) অথবা বড় বড় মোচ
রাখে, তা’হলে তারাও আমার দুশমন হবে, যেমন তারা আমার
দুশমন। (দালায়েলুল আসর)
কওমে লূতের নিন্দনীয় বৈশিষ্ট্য ও ধ্বংসের কারন:
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে আসাকেরসহ আরো কতিপয় মুহাদ্দিস
হযরত হাসান রা. হতে নবী করীম স. এর এই মুবারক হাদীস
বর্ণনা করেন যে, দশ প্রকার পাপে লূত সম্প্রদায় ধ্বংস
হয়েছিল; তন্মধ্যে দাড়ি কাটা, গোঁফ বড় রাখা অন্যতম।
আল্লাহ সুবানুহুতা’'য়ালা আমাদের সকলকে দাঁড়ি রাখার গুরুত্ব
অনুধাবন করে যারা এখন দাঁড়ি রাখিনি তাদের দাঁড়ি রাখার তৌফিক দান
করুন
এবং যারা দাঁড়ি সম্পর্কে আজেবাজে মন্তব্য করেন তাদের
হেদায়াত দান করুন। আমীন।
Saturday, 12 December 2015
আরবি প্রবাদ
* পৃথিবীটা লবণাক্ত পানির মত। যতই তা পান করবে
পিপাসা ততই বাড়বে।
* তুমি পাহাড়ের চুড়ার মত হইয়ো না। কারণ, এতে তুমি
মানুষকে ছোট দেখবে আর মানুষও তোমাকে ছোট
দেখবে।
* চিরকাল অন্ধকারকে গালমন্দ না করে ছোট্ট একটি
বাতি জ্বালানো অনেক ভাল।
* সব কিছু জানা তোমার জন্য আবশ্যক নয়। কিন্তু যা
কিছু বলছ তার সবটুকু সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
* কুপে থুথু ফেলনা। কারণ, হয়ত কখনো তোমার এ কুপ
থেকে পানি পান করার প্রয়োজন হতে পারে।
* গাছ থেকে যখন আপেল পড়ল তখন সবাই বলল, গাছ
থেকে আপেল পড়েছে। কিন্তু সব মানুষের মধ্যে এক
ব্যক্তিই শুধু জানতে চাইল কেন আপেলটি পড়েছে?
(আর তার মাধ্যমেই আবিষ্কৃত হল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি।)
* জীবন চলার পথে পড়ে আছে অসংখ্য পাথর। এতে
তোমার চলার পথ যেন থেমে না যায়। বরং
পাথরগুলো কুড়িয়ে তৈরি কর সাফল্যের সিঁড়ি।
* যে হিংসা করে সে সবার আগে নিজের ক্ষতি
করে।
* আত্মতৃপ্তিতে ভোগা সংকীর্ণ জ্ঞানের পরিচয়।
* যে অল্পতে তুষ্ট থাকে তার কাছে এ পৃথিবীর সব
কষ্ট সহজ হয়ে যায়।
* যদি নিজে নিজের 'বিবেক'কে বড় মনে কর তবে
শত্রু সৃষ্টি হবে আর যদি 'হৃদয়'কে বড় কর তবে বন্ধু বৃদ্ধি
হবে।
* যার ভুল হয় সে মানুষ আর যে ভুলের উপর স্থির
থাকে সে শয়তান।
* বাকপটু ও নির্বোধের সাথে তর্কে যেও না। কারণ,
বাকপটু তোমাকে কথায় পরাজিত করবে আর নির্বোধ
তোমাকে কষ্ট দিবে।
* পৃথিবীটা লবণাক্ত পানির মত। যতই তা পান করবে
পিপাসা ততই বাড়বে।
* তুমি পাহাড়ের চুড়ার মত হইয়ো না। কারণ, এতে তুমি
মানুষকে ছোট দেখবে আর মানুষও তোমাকে ছোট
দেখবে।
* চিরকাল অন্ধকারকে গালমন্দ না করে ছোট্ট একটি
বাতি জ্বালানো অনেক ভাল।
* সব কিছু জানা তোমার জন্য আবশ্যক নয়। কিন্তু যা
কিছু বলছ তার সবটুকু সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
* কুপে থুথু ফেলনা। কারণ, হয়ত কখনো তোমার এ কুপ
থেকে পানি পান করার প্রয়োজন হতে পারে।
* গাছ থেকে যখন আপেল পড়ল তখন সবাই বলল, গাছ
থেকে আপেল পড়েছে। কিন্তু সব মানুষের মধ্যে এক
ব্যক্তিই শুধু জানতে চাইল কেন আপেলটি পড়েছে?
(আর তার মাধ্যমেই আবিষ্কৃত হল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি।)
* জীবন চলার পথে পড়ে আছে অসংখ্য পাথর। এতে
তোমার চলার পথ যেন থেমে না যায়। বরং
পাথরগুলো কুড়িয়ে তৈরি কর সাফল্যের সিঁড়ি।
* যে হিংসা করে সে সবার আগে নিজের ক্ষতি
করে।
* আত্মতৃপ্তিতে ভোগা সংকীর্ণ জ্ঞানের পরিচয়।
* যে অল্পতে তুষ্ট থাকে তার কাছে এ পৃথিবীর সব
কষ্ট সহজ হয়ে যায়।
* যদি নিজে নিজের 'বিবেক'কে বড় মনে কর তবে
শত্রু সৃষ্টি হবে আর যদি 'হৃদয়'কে বড় কর তবে বন্ধু বৃদ্ধি
হবে।
* যার ভুল হয় সে মানুষ আর যে ভুলের উপর স্থির
থাকে সে শয়তান।
* বাকপটু ও নির্বোধের সাথে তর্কে যেও না। কারণ,
বাকপটু তোমাকে কথায় পরাজিত করবে আর নির্বোধ
তোমাকে কষ্ট দিবে।
Friday, 11 December 2015
ভুল...ভুল...ভুল...
মানুষ মাত্রই ভুল...
তাই বলে কি মানুষ শুধু ভুলই করে যাবে..??
যেমনঃ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ছাড়া জাতি উন্নত হতে পারেনা...
তেমনি যে ভুল থেকে শিক্ষা নেয় না সে জীবনকে উন্নত-সুখী ও সুন্দর করতে পারে না।
ভুল মানুষকে ছোট করে দেয়।।
ভুল মানুষের জীবনকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।
ভুল মানুষের জীবনে জন্য অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনের মারাত্মক ক্ষতিকর একটা দিক। ছোট্ট একটি ভুল অর্থাৎ ভুলতো শুধু নিজের ক্ষতি করছে তা তো নয়। বরং তার পরিবার. বন্ধু বান্ধব চলার সাথী তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে...
কাজেই মারাত্মক এ"ভুল" থেকে বেচেঁ থাকার চেষ্টা করুন.!
এমন অনেকেই আছে যারা ভুল করার পরেও আবার ভুল করে থাকেন ভুল থেকে শিক্ষা নেন না।
"ভুল" শব্দটা ছোট হলেও অত্যন্ত মারাত্মক ক্ষতিকর একটা শব্দ যে ভুল করে সে বেচেঁ থাকলে বুঝতে পারে কতটা যে মারাত্মক.!!
মানুষের জীবন একটাই, তাই যতোটা সম্ভব চেষ্টা করা উচিৎ 'ভুল থেকে বেচেঁ থাকার..!!
আশেক
মানুষ মাত্রই ভুল...
তাই বলে কি মানুষ শুধু ভুলই করে যাবে..??
যেমনঃ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ছাড়া জাতি উন্নত হতে পারেনা...
তেমনি যে ভুল থেকে শিক্ষা নেয় না সে জীবনকে উন্নত-সুখী ও সুন্দর করতে পারে না।
ভুল মানুষকে ছোট করে দেয়।।
ভুল মানুষের জীবনকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।
ভুল মানুষের জীবনে জন্য অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনের মারাত্মক ক্ষতিকর একটা দিক। ছোট্ট একটি ভুল অর্থাৎ ভুলতো শুধু নিজের ক্ষতি করছে তা তো নয়। বরং তার পরিবার. বন্ধু বান্ধব চলার সাথী তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে...
কাজেই মারাত্মক এ"ভুল" থেকে বেচেঁ থাকার চেষ্টা করুন.!
এমন অনেকেই আছে যারা ভুল করার পরেও আবার ভুল করে থাকেন ভুল থেকে শিক্ষা নেন না।
"ভুল" শব্দটা ছোট হলেও অত্যন্ত মারাত্মক ক্ষতিকর একটা শব্দ যে ভুল করে সে বেচেঁ থাকলে বুঝতে পারে কতটা যে মারাত্মক.!!
মানুষের জীবন একটাই, তাই যতোটা সম্ভব চেষ্টা করা উচিৎ 'ভুল থেকে বেচেঁ থাকার..!!
আশেক
Tuesday, 8 December 2015
Monday, 7 December 2015
Sunday, 6 December 2015
শৃঙ্খলা দেখেছি আমি পিপঁড়ার মাঝে,
যারা একজনকে টপকে আরেকজন সামনে
যায় না ।
0
0
একতাবদ্ধতা দেখেছি আমি কাকের
মাঝে , যারা একজন বিপদে পড়লে ১০০ জন
চারপাশে জড়ো হয় ।
0
0
বিশ্বস্থতা দেখেছি আমি কুকুরের মাঝে ,
যারা প্রভুর জন্য জীবন দিতে পারে ।
0
0
সরলতা দেখেছি আমি পায়রার মাঝে ,
যারা অচেনাকেও অল্প সময়ে আপন করে
নেয় ।
0
0
পরিশ্রম দেখেছি আমি ঘোড়ার মাঝে ,
যারা ঘন্টার পর ঘন্টা মনিব কে নিয়ে
দৌড়ায় । কোন প্রতিবাদ ছাড়াই ।
0
0
সাম্যতা দেখেছি আমি মৌ মাছির
মাঝে , যার সবাই এক জায়গায় মধু সংগ্রহ
করে ।
0
0
আমি হিংসা . ক্রোধ , বিশৃঙ্খলা , অনিয়ম
দেখেছি সৃষ্টির সেরা জীবের মাঝে ,
যারা নিজেদের মানুষ বলে দাবি করে
Saturday, 5 December 2015
Friday, 4 December 2015
•*সব সময় ব্র্যান্ড এর জিনিস ব্যবহার করবেন.!
যেমনঃ-ঠোঁটের জন্য- সত্যকথা।
•* আওয়াজের জন্য- খোদার জিকির।
•* চোখের জন্য- অন্যের জন্য মায়া।
•* হাত এর জন্য- দান সদ্গা।
•* পায়ের জন্য- খোদার ঘর এ গমন।
•* মনের জন্য- ভালোবাসা।
•* মুখের জন্য- সুন্দর হাসি।
•*মাথার জন্য- ওড়না। (মেয়েদের ক্ষেত্রে)
•* শরীরের জন্য- হিজাব।
•* ঘুম থেকে উঠে- বেঁচে থাকার জন্য খোদার শোকর আদায়।
•*ঘুমাতে যাওয়ার সময়- মৃত্যুরকথা চিন্তা করা।
______________________________________
আমাদের ফেইজে লাইক দিয়ে এক্টিভেট থাকুন
https://m.facebook.com/হাদীস-পড়ুন-সুন্দর-জীবন-গড়ুন-Hadis-Prun-Sundr-Jibon-Grun-733729010024574/
যেমনঃ-ঠোঁটের জন্য- সত্যকথা।
•* আওয়াজের জন্য- খোদার জিকির।
•* চোখের জন্য- অন্যের জন্য মায়া।
•* হাত এর জন্য- দান সদ্গা।
•* পায়ের জন্য- খোদার ঘর এ গমন।
•* মনের জন্য- ভালোবাসা।
•* মুখের জন্য- সুন্দর হাসি।
•*মাথার জন্য- ওড়না। (মেয়েদের ক্ষেত্রে)
•* শরীরের জন্য- হিজাব।
•* ঘুম থেকে উঠে- বেঁচে থাকার জন্য খোদার শোকর আদায়।
•*ঘুমাতে যাওয়ার সময়- মৃত্যুরকথা চিন্তা করা।
______________________________________
আমাদের ফেইজে লাইক দিয়ে এক্টিভেট থাকুন
https://m.facebook.com/হাদীস-পড়ুন-সুন্দর-জীবন-গড়ুন-Hadis-Prun-Sundr-Jibon-Grun-733729010024574/
•*সব সময় ব্র্যান্ড এর জিনিস ব্যবহার করবেন.!
যেমনঃ-ঠোঁটের জন্য- সত্যকথা।
•* আওয়াজের জন্য- খোদার জিকির।
•* চোখের জন্য- অন্যের জন্য মায়া।
•* হাত এর জন্য- দান সদ্গা।
•* পায়ের জন্য- খোদার ঘর এ গমন।
•* মনের জন্য- ভালোবাসা।
•* মুখের জন্য- সুন্দর হাসি।
•*মাথার জন্য- ওড়না। (মেয়েদের ক্ষেত্রে)
•* শরীরের জন্য- হিজাব।
•* ঘুম থেকে উঠে- বেঁচে থাকার জন্য খোদার শোকর আদায়।
•*ঘুমাতে যাওয়ার সময়- মৃত্যুরকথা চিন্তা করা।
______________________________________
আমাদের ফেইজে লাইক দিয়ে এক্টিভেট থাকুন
https://m.facebook.com/হাদীস-পড়ুন-সুন্দর-জীবন-গড়ুন-Hadis-Prun-Sundr-Jibon-Grun-733729010024574/
যেমনঃ-ঠোঁটের জন্য- সত্যকথা।
•* আওয়াজের জন্য- খোদার জিকির।
•* চোখের জন্য- অন্যের জন্য মায়া।
•* হাত এর জন্য- দান সদ্গা।
•* পায়ের জন্য- খোদার ঘর এ গমন।
•* মনের জন্য- ভালোবাসা।
•* মুখের জন্য- সুন্দর হাসি।
•*মাথার জন্য- ওড়না। (মেয়েদের ক্ষেত্রে)
•* শরীরের জন্য- হিজাব।
•* ঘুম থেকে উঠে- বেঁচে থাকার জন্য খোদার শোকর আদায়।
•*ঘুমাতে যাওয়ার সময়- মৃত্যুরকথা চিন্তা করা।
______________________________________
আমাদের ফেইজে লাইক দিয়ে এক্টিভেট থাকুন
https://m.facebook.com/হাদীস-পড়ুন-সুন্দর-জীবন-গড়ুন-Hadis-Prun-Sundr-Jibon-Grun-733729010024574/
Wednesday, 2 December 2015
শিক্ষনীয় একটি গল্প পুরটা পড়ার অনুরোধ রইলো!
এক বৃদ্ধা মা তার ছেলে, ছেলের বউ ও ছয় বছরের এক নাতীর সাথে বাস করতেন। বৃদ্ধা মা খুব দুর্বল ছিলেন।
তিনি ঠিকভাবে হাঁটতে পারতেন না, চোখে কম দেখতেন, বৃদ্ধ হওয়ার কারনে তার হাত কাঁপতো, কিছু ধরতে পারতেন না। যখন বৃদ্ধা মা ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে রাতে একসাথে খেতে বসতেন তখন প্রায় প্রতিদিন ই কোন না কোন ঘটনা ঘটাতেন। কোনদিন হয়তো হাত কাঁপার ফলে দুধের গ্লাস ফেলে দিয়ে টেবিল নষ্ট করতেন, আবার কোনদিন ফ্লোরে তরকারী ফেলে দিতেন।
প্রতিদিন খাওয়ার সময় এরকম ঝামেলা হওয়ায় ছেলে তার মায়ের জন্য আলাদা একটি টেবিল বানিয়ে দিল। টেবিলটি ঘরের কোণায় সেট করে দিল। বৃদ্ধা মা সেখানে একা বসে খেতেন আর একা একা চোখের পানি ফেলতেন।
ছোট্ট নাতীটি এসব নীরবে দেখছিল।
একদিন বৃদ্ধা মা কাঁচের প্লেট ভেঙে ফেললেন। বৃদ্ধার
ছেলেটি এজন্য তাকে কাঠের প্লেট কিনে দিল।
একদিন সন্ধ্যায় বৃদ্ধার ছেলেটি দেখলো তার শিশু বাচ্চা
কাঠের টুকরা দিয়ে কি যেন বানাতে চাচ্ছে। বাবা তার ছেলের কাছে গিয়ে বললো, বাবা তুমি কি করছো?
তখন শিশুটি বললো, আমি টেবিল ও একটি কাঠের প্লেট
বানাচ্ছি। যখন আম্মু বুড়ো হবে তখন কিসে খাবে ! তাই আগে থেকে বানিয়ে রাখছি।
ছেলের এরকম কথায় বাবা তার ভুল বুঝতে পারলো। সে তার স্ত্রীকে বললো, এখন থেকে প্রতিদিন আমরা
দুজন মাকে খাইয়ে তারপর খাব ।
কিন্তু হায়, যখন সন্ধ্যার পর তারা দুজন মাকে খাওয়ানোর জন্য গেল তখন দেখলো, তার গর্ভধারিনী মা মারা গেছে ।
শিক্ষা:-
মা-বাবাকে ভালোবেসো; কষ্ট দিও না
তবে সন্তান বাসবে ভালো ভুলে যেও না।
রূপ-যৌবন চিরকাল টিকে থাকবে না
“যেমন কর্ম তেমন ফল” ব্যত্যয় হবে না।
হাদীস পড়ুন সুন্দর জীবন গড়ুন
আমাদের ফেইজে লাইক দিয়ে এক্টিভেট থাকুন , দন্যবাদ,,
https://m.facebook.com/হাদীস-পড়ুন-সুন্দর-জীবন-গড়ুন-Hadis-Prun-Sundr-Jibon-Grun-733729010024574/
আমাদের ফেইজে লাইক দিয়ে এক্টিভেট থাকুন , দন্যবাদ,,
https://m.facebook.com/হাদীস-পড়ুন-সুন্দর-জীবন-গড়ুন-Hadis-Prun-Sundr-Jibon-Grun-733729010024574/
Subscribe to:
Posts (Atom)