Sunday 27 December 2015

বিশ্বাস কি? 

যে কোন কিছু বুঝতে হলে প্রথমে কিছু জিনিস না
বুঝেই বিশ্বাস করতে হয়। কারণ যে কোন কিছুর শুরুতে
কোন কিছুকে নিপাতনে সিদ্ধ হিসেবে ধরে না
নিলে কোন কিছুই আর জানা বা শিখা হবে না।
কিছু উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিস্কার হবে।
১। আমরা ভাষা শিখতে গেলে প্রথমে 'অ', 'আ', 'ই'
এগুলোকে যথাক্রমে স্বর-অ, স্বর-আ, হ্রস্ব-ই ইত্যাদি
হিসেবে বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করে নিতে হয়।
নাহলে ভাষা আর শিখা হবে না।
২। জ্যামিতি শিখতে গেলে প্রথমে কতোগুলো
স্বতঃসিদ্ধ বিষয়কে বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করতে
হয়। যেমন আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হয় যে, যার
দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা কিছুই নাই কিন্তু অস্তিত্ব
আছে তাকে বিন্দু বলে। এখন আপনি যদি বলেন যে,
পদার্থ বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী এমন কোন কিছু
থাকা অসম্ভব তাহলে আপনার আর জ্যামিতি শিখা
হবে না। তার মানে পদার্থ বিজ্ঞান দিয়ে এটা
বিম্বাস করা যাবে না। তাই বিনা যুক্তিতেই
আমাদেরকে এটা মেনে নিতে হয়।
৩। আবার আমরা যখন বিজ্ঞানে যায় তখনও বিভিন্ন
বিষয় যেমন অনু, পরমানু, ইলেকট্রণ ইত্যাদি বিনা
শর্তে মেনে নিতে হয়। তার উপর ভিত্তি করেই
অন্যগুলোর জন্য যুক্তি দাড় করানো হয়।
সুতরাং প্রতিটা ক্ষেত্রেই এমন কিছু বিষয় আছে
যেগুলোকে শর্তের উর্ধে রাখা হয়। না হলে আর
সামনে অগ্রসর হওয়া যায় না। কাজেই বুঝা গেল যে,
কোন কিছু বিশ্বাস করতে গেলে শুরুতেই যুক্তিকে
নিয়ে আসা বোকামি বৈ কিছুই নয়।
একই ভাবে, ইসলামের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস।
প্রথমত ৭টা মূল বিষয়ের উপর বিশ্বাস করলেই
ইসলামকে বুঝা এবং জানা যাবে। কেউ কেউ সৃষ্টি
কর্তাকে বিশ্বাস করার জন্য যুক্তি খোঁজেন। তারপর
তাদেরকে যদি সৃষ্টি জগৎ দেখানো হয় তখন তারা
বলে, "সব কিছুর যখন সৃষ্টিকর্তা থাকে তাহলে
উনাকে কে সৃষ্টি করেছেন?" (নাউযুবিল্লাহ) আসলে
মূল কথা হলো তারা কোন কিছুতেই সেটা মানতে
নারাজ। তারা অ, আ, ক, খ, A, B, C,, বিন্দু, রেখা সব
কিছুই বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করতে পারেন। শুধু
আল্লাহ কে বিশ্বাস করতে গেলে দুনিয়ার যতো সব
যুক্তি, প্রমাণ হাজির করতে হয়। এগুলো সবই তাদের
অযৌক্তিক টাল-বাহানা।
যারা সবকিছুতেই যুক্তি খোজেন তাদের কাছে
জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, "কোন্ যুক্তিতে আপনি
'যুক্তি' বিশ্বাস করেন?" তখন তাদের অবস্থাও
সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টার মতো হইবে।

No comments:

Post a Comment